আমার একান্ত কিছু শব্দের মানুষগুলো

আমার একান্ত কিছু অনুভূতি আমার কলমের সাথে ভাব জমায় আমি তাদের সাথে পথ পাড়ি দেই একাকী

Saturday, June 30, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি - ১৬

আজ বহুদিন পর ঢাকা চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গেলাম গ্রাসহপার্স ফটোগ্রাফি গ্রুপের সাথে । ছেলেবেলায় গিয়েছিলাম সুস্পষ্ট মনে নেই কত বছর আগে। তবে আনুমানিক ১৮ বছর আগে। তাই সব স্মৃতি ভুলে বসে আছি। আজ নতুন করে সব কিছু চিনলাম অন্যরকম ভালো লাগছিল। 


বাবা একবার শ্রীমঙ্গল চা বাগান থেকে ফেরার পথে কয়েকজনকে একটা অজগর সাপ মারতে উদ্যত হতে দেখেছিলেন তখন রাস্তায় গাড়ী তাদের হাত থেকে অজগর সাপটিকে রক্ষা করেন, অজগরটিকে বাবা পড়ে একটা বাক্সতে করে ঢাকা নিয়ে এসেছিলেন। সেটি আমাদের বাসায় দু’দিন ছিল। আমি ছোটবেলাতে খুব উচ্ছাসিত ছিলাম এ নতুন অতিথি নিয়ে। আমার মা দু’রাত সাপের দুশ্চিন্তাতে ঘুমাতে পারেন নি। অবশেষে সিদ্ধান্ত এই সাপ চিড়িয়াখানাতে রেখে দিয়ে আসা হবে। আমি প্রচন্ড মন খারাপ করেছিলাম।


আজ আমি সেই সাপটাকে দেখে আসলাম। ঠিক নিশ্চিত হতে পারি নি এইটা আমার ছোটবেলাকার অজগর সাপ কিনা তবে খাঁচাটা নিশ্চিত হতে পেরেছি। যদি সেই অজগর সাপটা মরে না থাকে তাহলে সেটাই আমাদের বাড়ীর সেই ক্ষনিকের অতিথি।


৩০ই জুন, ২০১২
---------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১৬/৩৬৫

Friday, June 29, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি - ১৫


আজ সকালে আমার চুনতি গ্রামের গর্ব করার মতন খবর প্রথম আলোতে পড়ে এত উল্লাসিত ছিলাম, নিমেষের ভিতরে আমি ভুলে গেছি ক’দিনের মন খারাপের দিনগুলো। আমার গ্রামের বাড়ী চুনতি, ডেপুটি বাড়ি, ছোট একটা গ্রাম যেখানে, সবুজ পাহাড়ে ঘেরা বনাঞ্চল। ছোটবেলা থেকে নানাভাইয়ের কাছে নানাভাই ও দাদাভাইয়ের চুনতির গল্প শুনতাম, প্রায়ই আমাদের গ্রামে বাঘ আক্রমন করত তখন উনারা প্রায়ই বাঘের হাত থেকে সাধারন মানুষকে রক্ষা করতে এগিয়ে যেতেন। উনাদের পিতামহ সেখানে বনায়ন প্রকল্প শুরু করেছিলেন বহু আগে। বাবা-চাচারা বিমর্ষ ছিলেন তাদেরে পূর্বপুরুষের বনাঞ্চল নাকি উজার হয়ে যাচ্ছে। আমি ভাবছিলাম আজ হোক কাল হোক এটার ‍উপর একটা প্রতিবেদন করে সবাইকে জানিয়ে দিব। কিন্তু তার আগেই সেখান গ্রামবাসী নিজেদের রক্ষা সবাই এগিয়ে এলেন। আমি খুবই উল্লাসিত ও গর্বিত। যেসব পশু পাখীরা অসাধু শিকারীদের ভয়ে আমাদের গ্রাম ছেড়ে চলে গেছিল তারা আবার ফিরতে শুরু করেছে। আমি খুব ব্যস্ততার কারনে হুট করে সেখানে যেতে পারি না। কিন্তু আমার মন সব সময় সেখানে থাকে। আমি ফটোগ্রাফির নেশার কারনে বাংলাদেশের আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়াই কিন্তু আমার চুনতি গ্রাম সেইভাবে কখনো যাই নি। এই প্রসংগে আমি রবি ঠাকুরের কবিতার ক’টি লাইনে নিজের ভিতরে আমি চুনতিকে খুঁজে পাই,

বহুদিন ধরে, বহুক্রোশ দূরে
বহুবার করে, বহুদেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা, দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দু’পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের ওপর একটা শিশির বিন্দু।

আমি খুবই শীঘ্রই যাচ্ছি আমার শিকড়ের সন্ধানে বেশ জোরেসোড়ে। আমার উপর চুনতির অনেক অভিমান জমেছে। সেজন্য, আজ আমি প্রচন্ডরকম অনুভব করছি নিজের ভিতরে আমার ফেলে আসা শিকড়ের কান্না।

প্রথম আলোতে প্রকাশিত আমার গ্রাম চুনতির আজকের খবর:
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-06-29/news/269563

২৯ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১৫/৩৬৫

ভালোবাসায় সিক্ত চুনতির গাছগাছালি-পাখপাখালি - প্রথম আলো

ভালোবাসায় সিক্ত চুনতির গাছগাছালি-পাখপাখালি - প্রথম আলো

Thursday, June 28, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি - ১৪

আমার জীবনের একেকটা পর্ব ১-১০, ১০-২০ ইত্যাদি এভাবে যদি প্রতি দশ বছর অন্তঃর অন্তঃর হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্বের মাঝামাঝির দিকে ১৪ কিংবা ১৫ বয়স সেই সময় প্রচন্ড ব্যান্ড সঙ্গীত এবং বই পড়ার নেশা ছিল। তখন ফুনাই ভিসিপির বদৌলতে আমাদের মধ্যবিত্তের মানুষ ঝুঁকে পড়লো উত্তম-সুচিত্রার ভিডিও ক্যাসেটের দিকে এবং কেউবা হিন্দি মুভির দিকে। আমি টিডিকে ক্যাসেট কিনে এলিফেন্ট রোডে রেইনবোতে গিয়ে রেকর্ড করে আনতাম ১২টা ইংরেজী গানের পিছনে সব মিলিয়ে ২০০ টাকা খরচ করার পর বাসার প্রিয় সনি ক্যাসেট প্লেয়ারে ঘর অন্ধকার করে গান শুনতাম। অদ্ভূত আনন্দ অনুভব করতাম। পিঙ্ক ফ্লয়েদ, মেটালিকা, ডেফ লেপার্ড, বন জভি, গানস এন্ড রোজেস আরো অনেকে ছিল। আমাদের সেই সময়কার প্রিয় বন্ধু ছিল আমাদের সেই ক্যাসেট প্লেয়ার। আজ আমি জীবনে চতুর্থ পর্বতে এসে শ’য়ে শ’য়ে গান শুনি নিমেষে বিনামূল্যে কিন্তু কোন গান আমার হৃদয়ে স্থায়ী আসন গড়ার সুযোগ পায় না, আমি ভুলে যাই মুহূর্ত এর ভিতরে নতুন কোন গানের আগমনে। অথচ কিনা আজও মনে পড়ে সেই গানগুলোর একটি,

“মনে পড়ে রুবি রায়
তোমাকে কত করে ডেকেছি”। - রাহুল দেব বর্মন

২৮ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১৪/৩৬৫

অ আ আজকের লেখালেখি - ১৩

“ব্যস্ততা আমাকে দেয় না অবসর,
তাই বলে আমায় ভেবো না স্বার্থপর, 
যেখানে যাই তুমি 
আছো মনের ভিতর।” - পার্থ বড়ুয়া


একটা গান শুনছিলাম অফিসের একটা কাজ শেষে ফেরার পথে, ছাত্রজীবনে সেই গানটা খুব একটা মন টানতে পারে নি। আজ প্রচন্ড ভালো লাগলো। কথাগুলো কেমন যেন জীবনের সাথে মিলিয়ে গেছে। 

রাত জাগার সেই পুরানো অভ্যাসটা মার বকুনী কিংবা স্ত্রীর অভিমানেও যায় নি। বই পড়া, গান শোনা, ইন্টারনেটে বসে নতুন কিছু জানার আগ্রহ বাড়ে রাত বাড়ার সাথে সাথে। প্রচন্ড রকম নেশা জমে। আবার সকালে অফিস সারাদিন চলে খাটাখাটনি। বাড়ী ফিরি রাতেই। আবার সেই পুরানো কাজে ফিরে যাই। সারাটা সপ্তাহ জুড়ে চলে কাজের রোলার কোস্টার। ঘুম কমে যাচ্ছে বলে পাল্লা দিয়ে শরীরের সাথে মনের জোরও যাচ্ছে কমে। অল্পতে ক্লান্ত লাগে। মন খিটখিটে হয়ে যায়। অবসর খুঁজি প্রচন্ডভাবে একদম কিচ্ছু না করার ইচ্ছা অনেকদিনের। জানি না সেই অবসরের জন্যে কবর অব্দি
অপেক্ষা করতে হবে কিনা।

২৭ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১৩/৩৬৫

অ আ আজকের লেখালেখি - ১২

ক’দিন ধরে আমি কোন কিছুতে মন দিতে পারছিনা। যে কোন বিষয়ে আমার একাগ্রতার মাত্রা খুবই হাস্যকর পর্যায়ে আছে। যা করতে চাচ্ছি সেটাতে কোনভাবেই মন দিতে পারছি না। আমার দেহ এক স্থানে মন আরেক স্থানে। বেশ কয়েকবার ভাবলাম এর গ্রহনযোগ্য যুক্তি কি হতে পারে ! অনেক 
ভাবাভাবি শেষে বুঝতে পারলাম, দীর্ঘ বিরতি পর রাঙামাটি সফরে যাওয়ার আমার মন এখনও পাহাড় থেকে ফিরতে পারে নি ওখানেই রয়ে গেছে। হয়ত ফিরবে একদিন কিংবা নাও ফিরতে পারে। আর আমি ততদিন আবার সেই পুরানো পাগলামীতে থেকে যাচ্ছি। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি,
এর জন্যে প্রচন্ড রকম ভুক্তভোগি হতে যাচ্ছে আমার প্রিয় মানুষগুলো। যদিও এ অভিজ্ঞতা তাদের কাছে নতুন নয়।

২৬ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১২/৩৬৫

Monday, June 25, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি - ১১

ইদানিং হুট করে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে প্রতিদিন স্বপ্ন দেখা। বয়সটা মনে হয় সামনে দিকে দ্রুততায় দৌড়াচ্ছে যার কারনে রোজ কাউকে না কাউকে স্বপ্নতে পেয়ে যাচ্ছি, যারা এখন অতীত কিন্তু তাদের সাথে ছিল আমার রঙীন দিনগুলো। আমি আমার জীবনের রঙ ভাবতে কিংবা খুঁজতে গিয়ে দেখি আমার অতীতের রং ছিল রঙীন, কিন্তু বর্তমানের রঙ একদম সাদাকালো। হয়ত আমার মনের ভিতরের পৃথিবীটার একটা পুরো অংশ জৌলুস হারিয়ে যাচ্ছে বলেই আমি সাদাকালোর বাইরে অন্য কোন রঙ খুঁজে পাচ্ছি না।

২৫ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১১/৩৬৫

Sunday, June 24, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি - ১০

আজ ভোরে স্বপ্ন থেকে ফিরলাম। পাহাড় পাদদেশে বৃষ্টির ছায়া, কাপ্তাই লেকের উপচে পড়া পানি দুই দিনে আমাদের সারা বছরের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিয়েছিল। আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে দেখলাম আমার সবচেয়ে সুন্দর দেশ বাংলাদেশ। আমরা সবাই ভিজলাম সুবলং-এর ঝর্না জলে, বৃষ্টির জলের সাথে ঝর্নার জলের সংমিশ্রনে অন্যরকম আনন্দ তৈরী হয়েছিল আমাদের ভিতর। আমার এই ধরনের আনন্দ অভিজ্ঞতা এইবারই প্রথম। বিরামহীন খাবার দাবার, সারাদিন ফটোগ্রাফি শেষে ফটো আড্ডা, বিভিন্ন স্পটগুলোতে ফটো তোলার ব্যাপারে অভিজ্ঞতা শেয়ার। আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি যা ছিল আমার অজানা । আমরা সবাই ছিলাম বন্ধুর মতন। সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটা ছিল, বিভিন্ন সাফারীগুলোতে দেখায় যা সবাই ফ্রেম ইচ্ছাকৃতভাবে কপি করার চেষ্টা করছে, এইবার আমি প্রথম দেখলাম সবাই নিজের মতন করে তুলছে, কারো সাথে ফ্রেম মিলে সেটা দেখাচ্ছে, কেউ একটু ভিন্নভোবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে এবং ফটো তোলার পর সবাই সবার সাথে ফটো শেয়ার করছে, কিভাবে তুললো, ফটো তথ্য শেয়ার করেছে। সবার এমন বন্ধুত্বপূর্ন মন-মানসিকতা আমাকে খুব মুগ্ধ করেছে। কারোর ভিতর অহংকারবোধ কাজ করে নি। আমি এই জন্যে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি হাসিন ভাই, শাহাদাত, পারভেজ, তুষার, জানালা, মুক্তার, তনয় এবং সামির কাছে। তাদের জন্যে এটি হয়েছে আমার জীবনের সেরা সাফারী রাঙামাটির সাফারী।

২৪ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১০/৩৬৫

অ আ আজকের লেখালেখি - ৯

রাঙামাটিতে আজ শেষ দিন। আজও বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘের কোন ক্লান্তি নেই। সারাবেলা ভর বৃষ্টিতে আমি মুগ্ধ হয়ে দেখলাম সবুজের গাঢ় ছোঁয়া। মৌসুমী ভৌমিকের একটা দারুন গানের দু’টি লাইনের মনে পড়ে গেল, 


“ছেলেবেলার পাহাড় আমায় ডাকে,
হাওয়ায় হাওয়ায় মায়ের গন্ধ ভাসে “।


আমিও পাহাড়ের কাছে গেলে কতগুলো প্রিয় মানুষের মুখগুলো ভাবি। অন্যরকম আবেগ তাড়নায় ভুগি।

আজ রাতে রাঙামাটিকে বিদায় দিয়ে যখন বাসে উঠলাম মনটা খুবই বিষন্ন হয়ে গেল মনে হল প্রিয় কাউকে রেখে চলে যাচ্ছি।

বিদায় রাঙামাটি, ভালো থেকো। আমি আবার আসবো ফিরে।

২৩ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ৯/৩৬৫

পুনশ্চঃ গত দু’দিন ঢাকার বাইরে থাকার কারনে ইন্টারনেট সুবিধা বঞ্চিত ছিলাম। তাই দু’দিনের লেখালেখি আজ আপলোড করলাম। ধন্যবাদ।

অ আ আজকের লেখালেখি - ৮

কুয়াশাতে ভাসতে থাকা ভোর বেলাতে জেগে উঠলাম
আমাকে স্বাগত জানতে
সেখানে আমার জন্যে অপেক্ষাতে ছিল
প্রিয় মানুষ আমার দাদু 
যাকে আমরা তার ইচ্ছাতে রেখে এসেছিলাম
সুদূর চট্টগ্রামে মোহরাতে
যতবার চট্টগ্রাম পাড়ি দিয়ে যাই
আমি প্রচন্ড নষ্টালজিকতায় ভুগি
ছোট্ট আমি
দাদুর কোল ঘেষে দুষ্টামি
বাবার সাথে চট্টগ্রামে ঘুরতে যাওয়া
একটু বড় হওয়ার পর একা একা ঘুরতে যাওয়া
জিসির মোড়ে আড্ডাবাজী
ডিয়ালীর আইসক্রিম
অসংখ্য স্মৃতির ভীড়ের
আমাকে কাছে অভিমান করে আমার প্রিয় দাদু
কতদিন পর তোর সময় হল আমাকে দেখার
তুই কত ব্যস্ত হয়ে গেছিস
আমি চুপ করে চোখের জল ফেলি
কিছু বলতে পারি না
আমার দাদু হাসে আমি কাঁদি
আমি যতবার চট্টগ্রাম পাড়ি দিয়ে যাই
ততবার আমার ভিতর কান্না চলে আসে
আমার প্রিয় দাদু আমার শিকড়
শিকড়ের জন্যে কান্না।

২২ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ৮/৩৬৫

পুনশ্চঃ গত দু’দিন ঢাকার বাইরে থাকার কারনে ইন্টারনেট সুবিধা বঞ্চিত ছিলাম। তাই দু’দিনের
লেখালেখি আজ আপ
লোড করলাম। ধন্যবাদ।

অ আ আজকের লেখালেখি - ৭

আমি খুব খুটখুটা স্বভাবের মানুষ। সহসা আমার মন খুব দ্রুত সন্তুষ্ট কিংবা তৃ্প্ত হয় না। কোন সময় নিজেই নিজেকে চিনতে পারি না। তবে আজ আমার জীবনে খুব সুখের দিন। আমরা ঠিক ৫ মাস আগে গ্রাসহপার্স ফটোগ্রাফারর্স কমিউনিটি নামে একটা গ্রুপ শুরু করেছিলাম। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, মুক্তমনা ফটোগ্রাফি চর্চা, যেখানে মেম্বাররা স্বতফূর্তভাবে ছবি সম্পর্ক জানতে পারবে। সবাই এখানে শিক্ষক, সবাই এখানে ছাত্র। আমাদের একটাই
পরিচয় আমরা সবাই ফটোগ্রাফার। আমাদের সবার একগ্রতায় আমরা ৫ মাসের ভিতরে ঢাকার বাইরে গ্রাসহপার্স প্রথম ফটোসাফারী হচ্ছে, আজ আমরা ফটো তুলতে রাঙামাটি যাচ্ছি। এইটা আমার মত একটা ছাপোষা মানুষের জন্যে বিশাল পাওয়া।

২১ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ৭/৩৬৫

পুনশ্চঃ দু’দিন ঢাকার বাইরে থাকার কারনে ইন্টারনেট সুবিধা বঞ্চিত থাকতে পারি। তাই দু’দিনের লেখালেখি কোথাও লিখে রাখব পরে সেটা ২৪ তারিখে আপলোড করব। ধন্যবাদ।

Wednesday, June 20, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি - ৬

আজ হুট করে প্রতিদিন ডায়রীর লেখার অভ্যাসটার কথা মনে পড়ে গেল। আমাদের ডায়রীর লেখার অভ্যাসটা কম-বেশী সবারই আছে কিংবা ছিল। আমার প্রথম বন্ধু বলতে গেলে আমার এই ডায়রীর।আমরা জন্মগতভাবে সবাই একটু চাপা স্বভাবের হয়ে থাকি। আমি শৈশবকাল প্রচন্ড একান্নবর্তী মনের মানুষ ছিলাম। একটু আত্মকেন্দ্রিক, অনেকটা নিজের কষ্টপাওয়া, ভালো লাগার অনুভূতিকে তালা বন্দি করে রাখা ছিল প্রতিদিনকার অভ্যাস। শুধু নিরব সাক্ষী ছিল এই ডায়রী। আমাদের সবার প্রথম ভালবাসা বলতে গেলে এই ডায়রী। একটা মানুষ পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার সাথে সাথে সেই ডায়রী হয়ে যায় চোখের জলে ভাসা জীবনের প্রতিচ্ছবি।

২০ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট: ৬/৩৬৫

অ আ আজকের লেখালেখি - ৫

সারাদিন অফিসের প্রচন্ড ব্যস্ততা শেষে। একটু বসলাম কিছু একটা লিখতে। লেখার বিষয়বস্তু না থাকলে যা হয় পুরা ছিন্নমূল পরিবারের মতন। তেমন মন মত লেখা হয় না।

“কমিটমেন্ট” - এই সহজ ইংরেজীর শব্দটির সহজ বাংলা হচ্ছে, কথা দিয়ে সেটা পালন করা। আমরা বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এই জিনিষটার অভাব। এই জন্যে আমাদের মত মানুষদের উন্নতি হয় না। অনেকে অনেক বড় কথা দিয়ে থাকেন কিন্তু সেই তুলনায় ক্ষুদ্র কাজ তারা করতে পারেন না। কারন, ছোটবেলার পরীক্ষার খাতাতে চাপা মারার সেই পুরানো অভ্যাসটা চিরকাল চালিয়ে দিতে চান। একবারও চিন্তা করেন না আপনি যাকে কথা দিয়েছেন সেই ব্যাক্তিটি আপনার জন্যে অপেক্ষা করছে এবং দুশ্চিন্তা করছে। আসলে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে স্বার্থপর হয়ে গেছি। যে কোন কিছুতে লাভ ব্যতীত সামনে এগুতে চাই না অন্যের ঘাড়ে কোন কিছু চাপিয়ে দিয়ে দেদারসে নিশ্চিন্ত মনে ঘুম দেই।

১৯ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট: ৫/৩৬৫

অ আ আজকের লেখালেখি - ৪

আমরা যারা বাবাকে সবসময় ভালবাসি তাদের জন্যে কি বছরের একদিন বাবাকে বাবা দিবসের কথা মনে করে অতিরিক্ত আবেগতাড়িত হওয়াকে উপহাস ছাড়া আর কিছু কি হতে পারে? 


আমরা বিদেশী কালচার থেকে কোনভাবে বের হয়ে আসতে পারছি না। নিজেরা মিলে উৎসব করার মতন নিজস্ব কোন কালচার তৈরী করতে পারছি না। পহেলা বৈশাখে আমরা অনেককে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখি। অথচ থার্টি ফাস্ট নাইটের জন্যে টিকিট পাওয়া যায় না। নাচ না পেরে অনেকে আবার মন খারাপ করে বলে এই নতুন বছরের ভালো যাবে না। আমাদের চলছে হিন্দি আগ্রাসন কালচার, ভারত আমাদেরকে সাহিত্যকে পঙ্গু করে রেখেছে কারন এর চর্চা সুযোগ হলো আমাদের দেশীয় চ্যানেল যা ভারতে সম্প্রচার নিষিদ্ধ। অথচ ভারতীয় চ্যানেল দেখে আমরা তাদের কালচারকে আপন করে ফেলছি। আমাদের নিজের শিকড়টাকে আমরা ক্ষ্যাত বলতে দ্বিধাবোধ করছি না।

১৮ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট: ৪/৩৬৫

অ আ আজকের লেখালেখি - ৩

অদ্ভূত কিছু স্বপ্ন নিয়ে ঘুম ভাঙ্গলো, সহসা আমি স্বপ্ন দেখি না, হুট করে স্বপ্ন তাজ্জব ব্যাপার হয়ে  দাঁড়ালো, ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষন ভাবলাম, যদি সত্যি হত। আমি হেঁটে চলছি, দু’ধারে লাইন ধরে নানান রঙের লিলি বাগান। কিছু ফুল ছিল অজানা। আমি আরেকটু হাঁটতে গিয়ে দেখি প্রিয় মুখগুলো হাসছে। প্রিয় দাদা ভাই, আপিন, দীদা, যারা আমার কবিতার জন্যে অপেক্ষায় ছিলেন। আমি তাদের সাথে বসে একটা কুটির ঘরের আঙিনায় কবিতা আওড়াচ্ছি। আমাদের সঙ্গ দিচ্ছিলো ঝিরিঝিরি হাওয়া আর শেষ বিকালের সূর্য। বেলা শেষে কুয়াশাতে মিলিয়ে গেল সব। 


১৭ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট: ৩/৩৬৫

অ আ আজকের লেখালেখি - ২

প্রতিটি রাত জেগে জেগে ভোর,
কিসের জন্যে ঘুম আসে নি তোর ।
আজি বৃষ্টি এল তীব্র উত্তালে,
বসে থাকবি কত আর 
এই চুপচাপ একাকী এক বিকালে।


১৬ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট: ২/৩৬৫

অ আ আজকের লেখালেখি - ১

আমরা যারা ভিতরে ভিতরে মরে যাচ্ছি তাদের সবার সেই ছোটবেলার শখগুলো জাগিয়ে তোলা দরকার, 


খাম থেকে স্ট্যাম্প কালেকশন, 
পুরানো ক্যাসেট প্লেয়ারে প্রিয় গান, 
তিন গোয়েন্দা গল্পের বইয়ে রাতভর ডুবে থাকা,
টুক করে কবিতা লিখে ফেলার পাগলামী,
আকস্মিক ছবি একেঁ ফেলা,
আজকে অদ্ভূত মনে করা 
সেই শখগুলো তোমাকে মনে করিয়ে দিবে 
তুমি হারিয়ে যাওয়ার নও, তোমার অনেক কিছু দেওয়ার রয়েছে।

১৫ জু্ন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
সবাই কম বেশী লিখতে পারে, কেউবা ছবি তুলতে পারে, কেউবা গান গাইতে পারে, কিন্তু কেউ তা ধরে রাখতে পারে না, রাখতে চায় না। আমি অনেককে দেখেছি ৩৬৫ দিনের প্রজেক্ট নিয়ে ফটো তুলতে আমিও শুরু করেছিলাম টানা ৫৫ দিন চালানোর পর ক্লান্ত হয়ে থেমে গেছি। এবার আবার প্রচেষ্টা শুরু করলাম নিজের লেখাগুলোকে বাঁচিয়ে তুলতে ৩৬৫ দিন কিছু না কিছু লেখব।

------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট: /৩৬৫