আমার একান্ত কিছু শব্দের মানুষগুলো

আমার একান্ত কিছু অনুভূতি আমার কলমের সাথে ভাব জমায় আমি তাদের সাথে পথ পাড়ি দেই একাকী

Wednesday, August 29, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি - ৭২

ক'দিন ধরে ভাবলাম। একটা কবিতা লিখবো। দারুন কিছু শব্দ নিয়ে। শুধু শুধু ভালোবাসা নিয়ে নয়, কিছু স্বপ্ন, কিছু দু:খ, সব কিছু মিলিয়ে দারুন কোন একটা কবিতা। সেই পুরানো রাস্তা ধরে হাঁটতে কবিতা, সরু রাস্তার শেষ মাথা পৌছে যাওয়া অব্দি কিছু লেখার চেষ্টা। অনেক ভাব
লাম, একবার নয় গোটা অষ্টম ভাবনা শেষে ক্লান্ত হলাম। নাহ! আজ হচ্ছে না কোন কবিতা। দুঃখিত কবিতা। আজ তোর দিন ছিল না। তাও পুরানো ভাত বাড়ে সেই রকম ভাবনা ভেবে পুরানো একটা প্রিয় কবিতাকে নিয়ে আপতত দিনপাত করি।

মায়া মাটির শেকড়

পঁচিশ বছরের মায়া মাটির বুকের
নিজের শেকড় উপড়িয়ে দিয়ে
যাচ্ছি চলে ;

পেছনে
স্রেফ স্মৃতির অলিগলি;
স্কুল বন্ধুর কাঁধে হাত রেখে
ফেরার পথে হেঁটে চলা,
বিকালের রোদে ছুটে যাই
যতদূর দেখা যায় আকাশের সীমানা।
সন্ধ্যায় মসজিদের ইমামের গম্ভীর কন্ঠে ঘর ফেরার ডাক,
বিশাল বৃক্ষের ছায়ায় বেঞ্চে
সীমাহীন আড্ডা।

শুধু সঙ্গে থেকে যাওয়া
হাওয়ায় হাওয়ায় অনেকগুলো
প্রিয় গন্ধ ভাসে ;
বৃষ্টির শেষে ভেজা মাটির,
বুনো লেবুর,
পোড়া খড়ের,
মায়ের সাদা শাড়িতে হলুদের ।

দু’একজন অশ্রু সজলে বলে,
“তুই মায়া ফেলে চলে যাচ্ছিস?”
আমি হেসে বলি, ‘মায়া’, শব্দটা
আমার কাছে এখন
নিছক ছেলেমানুষী ”।
স্রেফ অতীতে মায়ার তোড়ে;
ভেসে গেছি বহুবার,
মাটির মায়ায় দূর দেশের সোনার হাতছানিতে মন টেকে নি।
ভালবাসার নারীর মায়ায়
কষ্ট পুষেছি বছরের পর বছর,
স্বপ্নের মায়ায় হাল খাতা খুলে চোখের জলে হিসেব নিকেষ,
নতুন করে স্বপ্নভঙ্গের শংকায়
ভয় পেয়েছি নতুন স্বপ্নের স্পন্দনে।

পুরানো ভারী পাথরের কষ্টটা
এতটাই জাকিয়ে বসেছিল
দুম করে মরে যাওয়ার
ইচ্ছে ছিল প্রবল।

আর এখন ‘মায়া’ বিলুপ্ত প্রায়।
আজ আমি এক নতুন সূর্যদয়ের গল্প
আর পেছনে
সেই পুরানো মায়া
আর উপড়ানো শেকড় বাঁকড়।

(০১.০৮.০৪)

২৪ই আগষ্ট, ২০১২
-------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৭২/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

অ আ আজকের লেখালেখি - ৭১

একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
থাকবে না সাথে কোনো ছাতা
শুধু দেখা হয়ে যাবে মাঝ রাস্তায়
ভিজে যাবে চটি জামা মাথা
থাকবে না রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া
দোকানপাট সব বন্ধ
শুধু তোমার আমার হৃদয়ে
ভিজে মাটি সোডা গন্ধ


একদিন বৃষ্টিতে বিকালে
মনে পড়ে যাবে সব কথা
কথা দিয়ে কথাটা না রাখা
ফেলে আসা চেনা চেনা ব্যথা
অদূরে কোথাও কোন রেডিওতে
এই পথ যদি না শেষ হয়
আর বৃষ্টির রং বয়ে যাবে নীল
আর আকাশের রংটা ছাই....................

(একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে - অঞ্জন দত্ত ।)

ক'দিন ধরে টানা প্রচন্ড বৃষ্টি পড়ছিল। বাড়ী ফেরার পথে আমি এই অঞ্জনের এই গানটি শুনছিলাম গাড়ীতে । অদ্ভূত রকম ভালো লাগছিল। আকাশটা খুব মন খারাপ করা ছিল। সব দোকান পাট বন্ধ। ছিমছাম রাস্তা। গাড়ী-ঘোড়া ছিল না তেমন কোথাও। শুধু জোরশে বৃষ্টির শব্দ "ঝমঝম ঝমঝম"।

২৩ই আগষ্ট, ২০১২
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৭১/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

Thursday, August 23, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি - ৭০

ঈদ শেষে আজ অফিস খুললো। আমাদের মতন যাদের ঢাকা ছাড়া কোথাও যাওয়ার নেই তাদের কাছে এ ক'দিনে ঢাকা ছিল দারুন রকমের ছিমছাম। চমৎকার গুছানো একটা ছবির মতন শহর। যেখানে গিয়েছি সময় মতন পৌঁছেছি । প্রতিটি রিকসা ভ্রমন ছিল স্বর্গীয় অনুভূতির। সচারচর আজকাল রিকসাতে চড়ি
 না, কেবল ঈদ এলেই যা একটু চড়তে বসা। ঈদ ব্যতীত রিকসার জন্যে আমাদের ঢাকার অনেক রাস্তাগুলোতে প্রবেশ নিষিদ্ধ। তাই শুধু ঈদেই প্রান খুলে ঘোরা ফেরা করা যায়। রিকসাওয়ালা আব্দার করে কিছু বাড়িয়ে ভাড়া দেই। শাহবাগের কাছে শিশু পার্কে শিশুদের ভিড় বাড়ছে, শিশুরা অনেকদিন পর মুখে তৃপ্তি নিয়ে বাড়ী ফিরছে। টি.এস.সির মোড়ে জম্পেশ আড্ডার আসর। চটপটির দোকানগুলোতে ফুচকা, পেয়াজ আলুতে সাজানো, গোছানো তার চারপাশ ঘিরে কেউ খাচ্ছে চটপটি, ফুচকা খাচ্ছে, তরুন কারোর গায়ে পাঞ্জাবী, তরুনীর পরনে শাড়ি, কেউবা শার্ট-প্যান্ট কেউবা নতুন হালে ফ্যাশনে থাকা সালোয়ার কামিজ। আজ সবাইকে দারুন লাগছে, কেননা সবাই আজ মন খুলে হাসছে। ইশ! এই রকম রোজ রোজ যদি ঈদ হতো, তাহলে আমরা মানুষগুলো সারাক্ষন হাসতাম, আনন্দ করতাম। তাহলে কোথাও কোন হুড়াহুড়ি থাকত না , থাকত না বাড়ী ফেরার তাড়া।

২২ই আগষ্ট, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৭০/৩৬৫

(সাময়িক ব্যস্ততায় আপলোডে বিলম্বিত হল, সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।)

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

অ আ আজকের লেখালেখি - ৬৯

ঈদের দ্বিতীয় দিন। বেলা করে উঠলাম। দশ মাসে পা দেওয়া আমার ভাগনে আদ্বিয়ান আমাকে ঘুম থেকে তুললো। এই কাজটা সে অনেক আনন্দ নিয়ে করে। আমাকে ঘুম থেকে তোলার আগে আমাকে সে অনেকক্ষন ধরে পর্যবেক্ষন করে তারপর গায়ে উঠে ঝাকাঝাকি আরম্ভ করে। আমি অনেক সময় ঘুমের ভান কর
ি। তখন ওর অস্থিরতা বাড়ে। বিচিত্র শব্দ করে ডাকে, ‍‌‍"অঅঅআআইআ"। তারপর আমি ঘুম থেকে উঠার পর ওকে নিয়ে ঘরের ভিতর কয়েকটা ঘুরপাক খেতে হয় এইটা মানে হলো, ঘরের ভিতর বেড়াতে বের হওয়া। আদ্বিয়ান প্রচন্ড রকম ঘুরতে পছন্দ করে । ও প্রচন্ডরকম মামা ভক্ত । তাই ঘোরাঘোরি আব্দারটা আমার কাছে বেশী করে। ঈদের দ্বিতীয় দিনটা ছিল মামা-ভাগনে ঈদ।

২১ই আগষ্ট, ২০১২
-------------------------------------------------------------------- লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৬৯/৩৬৫

(ঈদ ব্যস্ততায় আপলোডে বিলম্বিত হল, সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।)

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

অ আ আজকের লেখালেখি - ৬৮

বৃষ্টিস্নাত ঈদ। সকালবেলাতে প্রচন্ড বৃষ্টিতে ভিজতে হলো। প্রতিবারের মতন এবারও আমার ছেলেবেলার পাড়াতে ছুটে গেলাম ঈদের নামায পড়তে। আমাদের প্রিয় খেলার মাঠে ঈদের জামাত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টির জন্যে সেই প্রিয় মাঠে আর জামাত হলো না। আমাদের পুরান
ো বাড়ীর কাছেই বিসমিল্লাহ মসজিদে ঈদের নামাযটা পড়লাম। তারপর সারা মহল্লা দাপিয়ে বেড়ালাম। পুরানো সব বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে গেল। অনেকের সাথে বিগত বছরখানেক আগে দেখা হয়েছিল। ঈদের কারনে অনেক হারানো মুখ ফিরে পাই। আবার বৃষ্টির কারনে বাড়ী ফিরলাম। সারাদিন বৃষ্টিতে বাড়ী বন্দী। ঘুমকাতুরে ঈদ। রাতে আবার আড্ডা দিতে বেরোলাম। ফিরলাম শেষ রাতের দিকে।

২০ই আগষ্ট, ২০১২
-----------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৬৮/৩৬৫

(ঈদ ব্যস্ততায় আপলোডে বিলম্বিত হল, সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।)

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

অ আ আজকের লেখালেখি - ৬৭

ঈদ আমাদের চির সুখের ঠিকানা
------------------------------
আকাশে চিকন চাঁদ,
কাল ঈদ।
কেউ হাসছে খুশীতে,
কেউ কাঁদছে গুমরে গুমরে,
কেননা

হয়ত এবার
কেউ আছে
বাবা হারিয়ে ফুঁপাচ্ছে,
কেউবা মা হারিয়ে,
কেউ কেউ আছে প্রিয় মানুষ হারা।
অথচ বিগত ঈদে তাদের
অনেকেই ছিল
আনন্দের মধ্যমনি।

অনেকে হয়ত এবার
নতুন কাপড়ে ঈদ হবে না
প্রিয় মানুষ নতুন কাপড় না পেয়ে
পুরানো কিছুতে ডুবে থাকবে
ছিনতাইকারীর হাতে
বোনাসের টাকা হারিয়ে
কেউ গ্রামের বাড়িতে ফিরবে না
এবার তাঁর ঈদ কাটবে একা
চার দেয়ালে বদ্ধ ঘরে।

তবু বিষন্নতায় ডুবে থাকি না
আমরা নতুন আলোতে মেতে উঠি
এবার ঘরে
এসেছে নতুন শিশু,
কেউ চলে গেছে
সেই নতুন শিশুকে স্থান দিতে।

আমাদের হাজারো কষ্টের মাঝে
আমরা অন্তত একটা দিন
ভালো থাকি
উল্লাস করি চিৎকারে
আনন্দে ভাসি অবিরাম

ঈদ হোক এবার
আমাদের সবার
চির সুখের ঠিকানা।

(অয়ন আহমেদ)

১৯ই আগষ্ট, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৬৭/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

Saturday, August 18, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি - ৬৬

I’m a simple man 
I’ve walked a long road 
My shoes are torn 
But still doing alright 

Some dreams are lost 
Don’t chase them no more 
I’ll wait and see 

What tomorrow brings 
When I walk East 
I feel like going home 
No matter how long I walk 
There will be no home anymore 

I met a girl in the valley 
Who gave me a diamond ring 
And gave me a promise 
To be by my side 

Sometimes we sit down 
Where the river flows 
And talk about the days 
When we were young and wild 

Now when I look up 
Dark clouds slowly pass me by 
Guess it’s only a phase 
We are going thru 

I miss some faces 
Familiar voices 
Calling my name 
Making me love my life 

Time goes so fast 
Memories star fading away 
I believe someday 
It will come back my way 
Well, it’s okay............. 

(গীতিকার ও সুরকার : নাহিয়ান ইমাম) 

এ গানটা আমার ভাই নাহিয়ানের লেখা। ও অসম্ভব চমৎকার কথার ভিতরে গানটাকে গুছিয়ে নিয়েছে। গীটার নিয়ে প্রায়ইশ ওকে দেখতাম এটা ওটা নিয়ে গাইছে। আমাদের পারিবারিক কোন অনুষ্ঠানগুলোতে প্রায়ই ও গান গাইত। আজও গান গায় কিন্তু সুদূর প্রবাসে। খুব মিস করি নাহিয়ানের গাওয়া এই গানটা। 

১৮ই আগষ্ট, ২০১২
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৬৬/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

অ আ আজকের লেখালেখি - ৬৫

Touch Someone!

People Ask "How can you be friends 
with someone you have never met?" 
I tell them" You have never 
been online I bet!". 

It's something people offline
will never understand.
You open up your heart to
friendship with your typing Hands.

It's a world full friendship at your
finger tips, there is so much.
Online, it only takes a heart
to reach people with your touch.

First you start out online,
surfing all around.
Next thing you know a great
friend will be found.

You will chat a lot and
surf cyber space.
Soon it will be your second home,
a comforting special place.

A Friend to share your
dreams and your tears
and to help each other
wipe away life's fears.

You will share life together
and help each other along
You will make it thru bad weather
because friendship is so strong.

No matter how far apart you go,
your keyboards will keep you together.
and in your heart you will know you
don't need a face to be a true friend forever.

So, How do you explain this to
people who have never been online.
I guess it takes a gesture of
friendship & a little bit of time.

খুব সম্ভবত ৯৮-৯৯ সালের দিকে একবার আমাদের বন্ধু মহলে বির্তক সৃষ্টি হয়েছিল নেট বন্ধুত্ব নিয়ে। তখন আমি এইটা দিয়ে তাদেরকে উপলব্ধি করানোর চ্ষ্টো করেছিলাম, বন্ধুত্বের নতুন ধারনাকে, তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল যে, এখনকার বন্ধুত্ব ধারনাটুকু সেই পুরানো রীতির টেলিফোনে আবদ্ধ নেই এর পরিধি বাড়ছে। ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগ আজ আধুনিক হয়ে গেছে।

১৭ই আগষ্ট, ২০১২
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৬৫/৩৬৫

(পারিবারিক ব্যস্ততার কারনে আপলোড দিতে বিলম্ব হল। সেজন্য দুঃখিত)

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

অ আ আজকের লেখালেখি - ৬৪

আকাশের দিকে তাকিয়ে আছো কোন আশায়
কি খুঁজো তুমি ফেলে আসা স্মৃতির পাতায়
স্বপ্ন ভেঙ্গে তুমি এখন বিধ্বস্ত
কেনো পড়ে আছো তুলে ধরো নিযস্ত

ফেলে দাও পোড়া দুঃস্মৃতি
তোমার জন্য উন্মুক্ত এখন পৃথিবী


দ্বিধার গ্রহ ভর করে তোমার উপর
সমাধানের জট খুলে খুঁড়বে নিজের কবর
ছিঁড়ে ফেলো অদৃশ্য সব বিষাক্ত জাল
করে ফেল পাথর ভেঙ্গে সমতল

ফেলে দাও পোড়া দুঃস্মৃতি
তোমার জন্য উন্মুক্ত এখন পৃথিবী।।।।

(গীতিকার ও সুরকার : ইদরাক অমিত)

ইদরাক ছেলেটা ছিল আমার ছোট ভাই বন্ধু। ওর সাথে পরিচয় হয়েছিল আমি বহু আগে বাংলা হাউজ নামে একটা চ্যাট রুমে চ্যাট করতাম। সেখান থেকে তাকে পেয়েছিলাম। দারুন রকম ক্রিয়েটিভ ছেলে ছিল। অদ্ভূত রকমের দারুন গলায় সে গান করত। আমাদের প্রায়ই ধানমন্ডিতে লেকের পাড়ে আড্ডা হতো। আমাদের সাথে আরো অনেকে ছিল তারিন, রাসেল, রুপম, অনিলা, সঞ্জু, লিনি। দারুন সেই দিনগুলো প্রচন্ড মিস করি। আমিতকে অনেক দিন ধরে খুঁজছি। ওর এই গানটা হঠাৎ ওর কথা মনে করিয়ে দিল।

১৬ই আগষ্ট, ২০১২
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৬৪/৩৬৫

(পারিবারিক ব্যস্ততার কারনে আপলোড দিতে বিলম্ব হল। সেজন্য দুঃখিত)

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

অ আ আজকের লেখালেখি - ৬৩

কষ্ট পেলে
কাঁদতে পারি না

চোখেতে কখনো
নেমে আসে না জল 

কষ্ট পেয়ে কষ্ট হাসি
হেসে যাই

বুকের কান্না
বুকে রেখে দিয়ে

১৫ই আগষ্ট, ২০১২
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৬৩/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

Tuesday, August 14, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি - ৬২


ঈদ মাত্র কয়েক দিন বাকি। হাতে গুনে গুনে ঠিক এক সপ্তাহ পরে। আমরা শেষ মুহূর্তে সবকিছু গুছিয়ে উঠতে শুরু করছি। অনেকে শেষ মুহূর্তে ঈদ বোনাস পাওয়াতে ঈদ শপিং সবে শুরু করেছেন। কেউ কিনতে পারছেন, কেউ পারছেন না। কেননা, শখের মূল্য এখন আকাশ ছোঁয়া। আমাদের মধ্যবিত্তরা ঝুকঁছে ফুটপাথের দিকে। একসময় ফুটপাথের কাপড়ের ব্যবসায়ীরা মন খারাপ করে বসে থাকত খাঁ খাঁ করতে থাকা জায়গাগুলোতে। এখন যুগ পাল্টে গেছে। অর্থনীতি বেসামাল তাই, ফুটপাথের ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো। সাধারন মানুষ ঝুঁকছে ফুটপাথের দোকানগুলোতে। টাকাওয়ালা মানুষগুলো বিরস বদনে দেদারসে কাপড় কিনবেন ঠান্ডা এসির মার্কেটে বসে। একসময় পাহাড়সম কাপড় কিনে স্তুপ বানিয়ে তার পাশে বসে বিলাপ ভঙ্গিমায় মন খারাপ করে ভাবতে থাকে, কিছুই তো কেনা হলো না। আমাদের ধনী-গরীবের পার্থক্যতা এতটাই বেশী। যার টাকা আছে সেটি আকাশ ছুঁয়ে যায়, আর যার টাকা নেই সে কাপড়ের কেনার কথা ভুলে গিয়ে দু'বেলা ভালো করে খাবার খাওয়ার কথা ভাবে। আমাদের দেশে বিদেশীরা এসে অনেক বেশী বিভ্রান্তিতে থাকে কেননা, তারা বুঝতে পারে না, এখানে এক রাস্তাতে একজন বিএমডাব্লিও চালায় এবং অন্যজন রিকশা চালায়। অথচ আমাদের সরকার টাকা পায় না বলে বিদেশীদের কাছে হাত পাতে আর বলতে থাকে আমরা গরীব আমরা না খেয়ে থাকি। তবুও আমরা বেঁচে থাকি অনেক স্বপ্ন নিয়ে, সুন্দর একটা ঈদের ভাবনা নিয়ে। যারা ঈদে বাড়ী যাচ্ছেন তারা খুব আনন্দ ও স্বপ্ন নিয়ে বাড়ী যাচ্ছেন। ছোটছোট ছেলেমেয়েগুলো গ্রামের বাড়ীতে অপেক্ষায় আসা দাদা-দাদীর জন্যে এক ঝাঁক চকলেট আর গল্পের ঝুলি নিয়ে যাচ্ছে। যারা টিকেট পান নি তারা হয়ত কেউ বাসের ছাদে কেউবা ট্রেনের ছাদে বসে গ্রামে যাচ্ছেন। কালোবাজারে টিকিটে সয়লাব। আমরা কেউ সোজাভাবে টিকিট খুঁজে পাচ্ছি না। আমাদের মন্ত্রীমহোদয় জোর গলায় বলছে কোথাও কালোবাজারী হচ্ছে না, এখানে মন্ত্রীমহাদেয়কে দোষ দিয়ে লাভ নেই, উনারাতো সাধারন মানুষের মতন গ্রামের বাড়ী যাওয়ার জন্যে টিকিট কাটতে যান না। কালোবাজারী হচ্ছে কিনা, সেটা জানতে উনি ঢাকঢোল পিটিয়ে পুলিশ বহর নিয়ে যাচ্ছেন, প্রতিবারই কালোবাজারীরা হাওয়া হয়ে যাচ্ছে, তারা আগে ভাগে জানেন মন্ত্রীমশাই আসবেন, টিকেট কাউন্টারের লোকজনই তাদের আগে ভাগে জানিয়ে দিচ্ছেন মন্ত্রীমশাইয়ের আগমনী ঘন্টা। উভয় পক্ষের লুকোচুরি খেলা শেষে আবার সেই টিকিটের জন্যে হাহাকার, মারামারি, ঘুরে ফিরে ভুক্তোভুগি সেই আমজনতা। পুরো পরিববার জানে না আদৌ সবাই মিলে বাড়ী ফিরতে পারবে কিনা। কেউ হয়ত ঢাকায় থেকে একলা ঈদ করবে।
আমাদের টিকিট সমস্যা শেষে যাত্রার দিন শুরু হয় সিট দখলের লড়াই, টিকিট হাতে নিয়ে অনেকে দাঁড়িয়ে বাড়ী যায় আর টিকিট না কেটে অনেকে ছিটে বসে ঘুমায়। বিভিন্ন টার্মিনালগুলোতে আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ায় সুযোগ সন্ধানী অজ্ঞান পার্টি, ছিনতাইকারীরা। শেষ মুহূর্তে হঠাৎ করে বেড়ে যায় সান্ধ্যকালীন ছিনতাই উৎসব। বরাবরের মত ভুক্তভোগী মধ্যবিত্ত রিকসাযাত্রীরা। আমাদের সব কষ্ট ভুলিয়ে আসছে ঈদ, আমাদের সবার মনের ঠিকানা এক জায়গাতে, আমার সবাই মায়ের কাছে যাচ্ছি। 

১৪ই আগষ্ট, ২০১২
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৬২/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

Monday, August 13, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি - ৬১

কাল থেকে ঈদের ছুটি শুরু । হঠাৎ এই সময় ছেলেবেলাকার ঈদের ছুটির দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ছে। 

পুরো একমাস আমাদের স্কুল বন্ধ থাকত এবং আমরা সচারচর এত দীর্ঘ ছুটি কোন সময় পেতাম না। রমজান মাস পুরোটাই আমরা বাড়ীতে কাটাতাম। প্রতিবছর অপেক্ষা করতাম ,"কবে রমজা

ন মাস আসবে " ।

রোজার সময় ছোট ছিলাম বলে রোজা রাখতে পারতাম না তাও জোর করে হলেও খেয়ে খেয়ে রোজা রাখতাম। আমার মা আমার ছোট্ট গ্লাসে আলাদা করে লেবু শরবত দিতেন, আমার ছোট্ট মেলামাইন প্লেটে অনেক ইফতারের খাবার থাকত। আমি খুব অস্থির ছিলাম বলে পা দুলিয়ে দুলিয়ে অপেক্ষা করতাম, আর কিছুক্ষন পর পর মাকে বলতাম, "মা আযান পড়ছে না কেন? "। মা হাসতেন।

প্রতিবছর রোজার সময় স্কুল টিচাররা চাপিয়ে দিত একগাদা হোমওয়ার্ক এবং মিড টার্ম পরীক্ষা। সবসময় গায়ে হাওয়া লাগিয়ে উড়ার জন্যে শেষ মুহূর্তে বই-খাতা নিয়ে পড়তে বসতাম। আর অংক কষতাম সেই লসাগু, গসাগু, বানরের বাঁশ বেয়ে উঠা, সরল অংক নামের কঠিন অংক, ঐকিক নিয়ম, সুদকষা, এ্যালজেবরা, জ্যামিতি। হাজার রকম টেনশনসম্বলিত সংখ্যামালা। সকালে রোজ আতিক স্যারের কাছে গিয়ে গনিত চর্চা, দুপুরে ঘুম চোখে বাংলা ব্যাকারন, ইংরেজী ট্রান্সলেশন, রচনা। বিকালবেলাতে সবকিছু ফেলে দিয়ে ফুটবল মাঠে। শেষমেষ পা ব্যথ্যা নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে বাড়ী ফেরা। বাড়ী ফিরে ইফতার শেষে আবার সেই পড়ার টেবিল। রোজ রোজ চলতে থাকত এই সহজ নিয়মের সরল দিনগুলি।

চাঁদরাত ছিল আমাদের বন্ধু মহলে উৎসবের রাত। বিকাল শেষ হয়ে আসা আকাশে সরু চাঁদের হাসি দেখে আমরা খুশীতে হৈচৈ করতে করতে এলিফেন্ট রোডে ছুটে যেতাম, নতুন জুতা , পাঞ্জাবীর ও নতুন টুপির খোঁজে; কখনো সখনো লিভাইস জিনস প্যান্ট সংগে ক্যাটস আইয়ের শার্ট। সব্বাই মিলে একগাদা শপিং শেষে দুরপাল্লা রিকশা ভ্রমনে বাড়ী ফেরা। আমাদের চাঁদরাতের আড্ডা চলতো দীর্ঘ রাত অব্দি। একসময় আবার কাল দেখা হবে বলে আমরা সবাই বাড়ী ফিরতাম এবং ঘুমুতে যেতাম আগামী কালে সুন্দর ঈদের স্বপ্ন নিয়ে।

১৩ই আগষ্ট, ২০১২
-------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৬১/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

Sunday, August 12, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি - ৬০

প্রতিনিয়ত দেখছি, শুনছি আমাদের প্রিয় ঢাকা ছিনতাইকারীর জন্যে স্বর্গ হয়ে গেছে। রোজ কারোর না কারোর ছিনতাই হচ্ছে, পকেটমার হচ্ছে। যার টাকা যাচ্ছে চলে তার এবার ঈদের প্রিয়জনদের জন্যে কোন কিছু কেনা সম্ভব হচ্ছে না, হয়ত অনেকে সাধ্যের বাইরে চলে যাওয়া দামে কালোবাজার থেকে টিকেট কাটার ক্ষমতাটাও হারিয়ে ফেলছে। কেউ কেউ ধার করে কোনমতে প্রিয়জনদের কাছে ফিরতে পারছে। আমাদের কেউ নিরাপত্তা দিতে পারছে না। আমরা টাকার অভাবে নিরাপত্তা কিনতেও পারছি না। আমরা যারা মধ্যবিত্ত চাকুরীজীবি, তাদের আয় সীমিত হয়ে গেছে, জীবন যাত্রার ব্যয় যে অনুপাতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সেই অনুপাতে আয় বাড়ছে না, যা বাড়ছে তা অতি নগন্য, যার জন্যে আমাদের সঞ্চয় অতি সামান্য কোন সময় ধার বাড়ছে। আমাদের ভবিষ্যৎ চলে যাচ্ছে ঘন অন্ধকারের দিকে। এত কষ্টের মাঝেও আমরা মরে যাই না, বেঁচে থাকি প্রিয় মানুষগুলো হাসিমুখ দেখে। টিকে থাকি দিনের পর দিন । 

১২ই আগষ্ট, ২০১২
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৬০/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

Saturday, August 11, 2012

অ আ আজকরে লেখালেখি - ৫৯

আসছে ঈদ । সবাই বাড়ী যাচ্ছে । আমি কখনো সেইভাবে দেশের বাড়ীতে যাওয়ার উচ্ছ্বাস করার সুযোগ পাই নি। আমার দেশের বাড়ী চট্টগ্রাম হওয়া সত্ত্বেও আমি কোনদিন সেখানে ঈদ করি নি। আসলে আমার জন্ম এবং বড় হওয়া সব কিছু ঢাকাতে। আমার আত্মীয়স্বজন আমার জন্মের আগের থেকে ঢাকায় বসবাস করছেন। মা-বাবাও 
সেইরকমভাবে চট্টগ্রামে যান নি। দাদা বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার আগেই চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকা এসে বাড়ী করেন। আমার শিকড় ঢাকা কিন্তু নাড়ীর টান চট্টগ্রাম। যতবার আমি চট্টগ্রাম যাই আমার চোখে পানি চলে আসে। কেননা আমার প্রিয় দাদু সেখানে শায়িত। যতবার উনার কাছাকাছি যাই, প্রতিবার তাঁর কন্ঠে একটাই কথা শুনি, এতদিন পর তোর আসার সময় হলো !

১১ই আগষ্ট, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৫৯/৩৬৫

Friday, August 10, 2012

অ আ আজকরে লেখালেখি - ৫৮

অনেক পুরানো একটা প্রিয় লেখা আমি সবসময় পড়ি। এই রকম লেখা পরবর্তীতে অনেকবার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কেন যেন পারি নি। 
------------------------------------------------------------------------
ছোট ছোট অভিমান

গোলগাল কার্লি চুলের মেঘলার সাথে আমার অদৌ বনিবনা হয় না। এমনকি ঈশ্বর চিন্তিত থাকেন আমা

দের শান্ত মুহূর্তে ; ভাবেন সামনে বোধহয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা অনিবার্য । আমাদের নিরবতায় আশেপাশে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজন একটু বিচলিত থাকে। যখন আমরা ঝগড়া জুড়ে দেই। আশপাশে যেন স্বস্তির নিশ্বাস পড়ে। স্বয়ং ঈশ্বর নিশ্চিন্ত মনে অন্য কাজে ব্যস্ত হন। আমাদের জন্মটা দন্দ্বের মাঝে। আমাদের বন্ধুত্ব, ভালবাসা আর বিয়ে সব কিছুই একেকটা হাঙ্গামার অংশ। যার শিকার হচ্ছে আমাদের আশে পাশের মানুষগুলো । আমরা আজোও তুই তোকারীতে রয়ে গেছি। ‘তুমি’ বলতে হাসি আসে। আমি মেঘলাকে ছেমড়ি ডাকি, ও আমাকে ডাকে ছেমড়া। খেলার মাঠে দু’দলের সর্মথন নিয়ে, রাজনীতিতে দু’পক্ষের আধিপত্য দেখাতে, পচ্ছন্দ-অপচ্ছন্দে নিয়ে ঝগড়া বাঁধে। আমার ভাললাগে সাগর আর মেঘলার পাহাড়। মেঘলা আকাশ ছুঁতে চায় আর আমি পাতাল ছুঁতে চাই। কোথায় বেড়াতে যাওয়ার প্লান বানচাল করি নিজেরাই। মন খারাপ করে দু’জনে পুর্ণিমা দেখি নিজেদের ছাদে বসে। আমার প্রিয় রং গাঢ় সবুজ চির সজীবতার প্রতীক। আর ওর নীল চির বেদনার প্রতীক। শুনেছি কান্নার ও রং নীল। আমাদের অনাগত শিশুটি কন্যা হবে এ আমার প্রার্থনা। মেঘলার পুত্র কামনা। এ নিয়ে তুমুল হৈ চৈ করি। মেঘলার বাবা মা আমাকে বোঝায়, আর মেঘলাকে আমার বাবা মা। আমাদের অনাগত শিশু জন্ম নিয়ে আমাদের সামলানোর দায়িত্ব নিয়ে গালে হাত রেখে চিন্তিত মনে খুঁজবে সমাধান। হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে আমাদের ছেলেমানুষীতে। আমাদের সারাটাবেলা কাটবে কারণহীন ঝগড়া রাত এলে ক্লান্ত আমরা ভালবাসা নিয়ে ঘুমুতে যাই। মেঘলা প্রায়ই রাগ করে ফিরে যায় বাবার কাছে। আমিও বিষন্নতায় ঘর সামলাই একা। কিছুক্ষণ বাদে মেঘলা ঘরে ফিরে। এসেই মেঘলা শোনায়,“তোকে ছাড়া আমার একদম ভালো লাগে না। আমি বুঝি না, তোর মতন বাঁদরকে আমি কেন এত ভালবাসি।” বাঁদর কথাটা নিয়ে আমাদের আবার ঝগড়া বাঁধে।

(অয়ন আহমেদ ০৩/০৮/২০০২)
------------------------------------------------------------------------

১০ই আগষ্ট, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৫৮/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

অ আ আজকরে লেখালেখি - ৫৭

পুরোনো লেখা খুঁজে পলোম ডায়রীর ভাজে ভাজে। কেন যেন সে লেখাগুলো এগুতে পারে নাই। একেবারে যাতে সবগুলো হারিয়ে না যায় তাই আজ আবার নতুন করে লিখ
লাম।
-----------------------------------------------
কতটুকুই বা
ভালোবেসেছিলাম?
কোথায় ছিল ভালোবাসা?
ওর কপালে আলতো চুমুতে
নাকি চোখে মুখে অস্থিরতাতে?

ভালোবাসা বসবাস করেছিল
হয়তো দীর্ঘদিন
মনের গভীর গহীনে।
------------------------------------------------
হেরে গিয়েছি তাই,
খুলে দিয়েছি মৃত স্বপ্নের জানালা।
সেই জানালায় পুরানো বৃষ্টি ঝরে কান্নায়,
উদাসী হাওয়া এসে
দীর্ঘশ্বাস বাড়ায়।
বুকে তুমি মাথায় রেখে
ভাবো যদি অন্যজন ।
--------------------------------------------------

৯ই আগষ্ট, ২০১২
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৫৭/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

Wednesday, August 8, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি- ৫৬

প্রতিনিয়ত আমরা মানুষ চিনতে ভুল করি। ভুলের মাসুল হিসেবে আমরা ভুগি মনোকষ্টে। সত্যি বলতে কি, আমরা কখনো নিজেরা যে কোন দুঃখ বা কষ্টের জন্যে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকি না। আবেগ আছে বলে আমরা মানুষ, আমরা কষ্ট পাই। যারা বলে আমি কষ্ট পাই না সে মানুষ হতে পারে না। আমরা একটা সময় কাউকে আপন ভেবে খুব কাছে নিয়ে আস
ি যখন সে কাছ থেকে চলে যায় আমরা ভেঙ্গে পড়ি । অথচ একবারও মেনে নিতে পারি না। আমাদের ভিতরের একটা বড় অংশ জুড়ে বিশাল একটা শূন্যতার সৃষ্টি করে। আমাদের ভিতর কেউ হয়ত পরবর্তীতে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। কিন্তু তবুও আমরা বেঁচে যাই , টিকে যাই আমাদের মনোবলের জোরে। আসলে আমাদের জীবনে প্রতিটি মুহূর্ত সংগ্রামের, এই টিকে থাকার সংগ্রামে উত্তাল জলে যে মানুষটা খড়কুটো ধরে ভেসে থাকে তার কোনদিন পরাজয় হয় না। সেই হয় সত্যিকার বিজয়ী।

৮ই আগষ্ট, ২০১২
--------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৫৬/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

Tuesday, August 7, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি- ৫৫


আজ হঠাৎ করে আমার ইউনিভাসিটি জীবনের কতগুলো বন্ধু কথা মনে পড়ে গেল। আমরা রোজ আগে ভাগে ইউনিভার্সিটি যেতাম আড্ডার মারার জন্যে। আমরা ব্যাক্তিগত সকল সমস্যা থেকে পালিয়ে গিয়ে আমাদের ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে আড্ডা দিতাম।লাইব্রেরী ছিল ঘুমানো জন্যে খুবই চমৎকার জায়গা, একগাদা বইয়ের স্তূপ করে ঘন্টা দু'য়েক ঘুমিয়ে চাঙ্গা হয়ে যেতাম, আমাদের লাইব্রেরী ম্যাডাম প্রথম দিকে একটু কড়া চোখে তাকাতো পরে বোধহয় ভাবতো, "আহা! ছেলেটা পড়তে পড়তে ক্লান্ত একটু না হয় ঘুমাক"। আমি প্রায়শই কয়েকটা বিরুক্তিকর ক্লাস থেকে পালাতাম। একবার পালার প্রচেষ্টা চালাতে গিয়ে দরজায় কেবল পা দিলাম, হঠাৎ পেছন থেকে শুনি, আমার স্যারের কন্ঠ, "অয়ন তুমি যেওনা আমি খুব কষ্ট পাবো"। আমার ক্লাসমেটগুলো হি হি করে উঠলো, আমার সাথে যারা পালাত তারা মুখ টিপে হেসে বললো, হিহি! কই যাস? আমি মন খারাপ করে স্যারের কথা মতন সামনের চেয়ারে বসলাম এবং ঝিমুতে লাগলাম। আমি অনেক দিন আগে আমার ইউনিভাসির্টির কিছু বন্ধুদের প্রতি অভিমান করে একটা কবিতা লিখেছিলাম। আজ হঠাৎ সেটি চোখে পড়ে গেল। আমার আজ কারোর প্রতি কোন অভিমান নেই। কেননা, অভিমান আমার বিষন্নতাকে লালন করে তাই আমি নিজেই পালিয়ে যাই, হুট করে গজিয়ে উঠা বিষন্নতার কাছ থেকে।


সময় ও বন্ধুত্ব

কিরে ক্যামন আছিস ?
আমি একটু দেরীতে জবাব দিলাম , “ভালো” 
জড়তা নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
আপনি কেমন ?
খুব নবাব হয়ে গেছিস না !!
এখনও চিন্তে পারিস নি ?
আমি আমতা আমতা করছি।
ঠিকই চিন্তে পারি নি।

স্মৃতি হাতরিয়ে বেরিয়ে এলো
আমার ভার্সিটি বন্ধু সজীব, 
মাসুদ, ভিকি, জিনি, শামীমা
আমি বরাবর নিজের ভিতর 
ডুবে থাকতাম কখনও থিসিস
কখনও লেখালেখির ভেতর
একগাদা বন্ধু জম্পেশ আড্ডার আসরে
আমি বরাবর বিরুক্তিকর চরিত্র
আপন মনে শুনে যেতাম
ওদের ছেলেমানুষী কথোপকথন
কে প্রেমে পড়েছে, 
ভার্সিটি নতুন ব্যাচে সুন্দর মেয়ে এসেছে
এসবের মাঝে আমি ছিলাম নিশ্চুপ
বিরামহীন লেখালেখির কারণে
কেউ আমাকে আব্দার করত
দোস্ত ! একটা প্রেমপত্র লেখে দে না
জব্বর প্রেমপত্র বুঝলি !
দে নারে ।
আমি লেখে দিতাম এক নিশ্বাসে।
আমার কলমের খোঁচাতে 
কত জনের কত প্রেম এল

কত প্রেম চলে গেল
কেউ হল সংসারী
কেউ হল গৃহত্যাগী।
ভার্সিটি জীবনে কত বন্ধু ছিল
কতজনে কত নোট ধার
এস্যাইনমেন্ট কপি করা।

আজ গুণে গুণে দশটি বছর
পেরিয়েছে ভার্সিটি জীবন ফেলে এসেছি
পেশাজীবনে পুরানো সম্পর্কের কেউ
মাথায় আসে নি।
আমি একটা সময় ওদের সাথে ছিলাম
আজও আছি 
কিন্তু খুব একটা কাছাকাছি নয়।

অয়ন আহমেদ
১৬.০১.০৯

৮ই আগষ্ট, ২০১২
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৫৫/৩৬৫

অ আ আজকের লেখালেখি- ৫৪

আমার নানা ভাইকে নিয়ে আমি আজও গর্ব করি, যিনি এত বড় একটা বিজ্ঞানী ছিলেন; যার আবিস্কৃত ভ্যাকসিন আজও পোলট্রি ফার্মগুলোতে ব্যবহৃত হয়। তার আবিস্কৃত রানীরক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন আজ কত উপকার করে আসছে যেটি আজ কেউ তাকে মনে রাখে নি শুধু আমরা ছাড়া। নানা ভাই কোনদিন এটি নিয়ে অহংকার করেন নি। আমার নানা ভাই আমার মা, খালা, মামাদের উদ্দেশ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ন উপদেশ গিয়েছিলেন। যেটি বংশক্রমানুসারী আমি অনুসরন করার চেষ্টা করছি :

A father’s advice to children

1. Live within or beneath your means and never borrow nor lend, if you can help it.

2. Treat everyone you meet, as you yourself want to be treated.

3. Do not learn the tricks or your trade, instead, learn the trade itself.

4. Do not be afraid to admit your mistakes.

5. Never take action when you are angry.

6. Never pay for work, before it is completed.

7. Beware of the person who has nothing to lose.

8. When facing a difficult task, act as through it is impossible to fail.

9. Learn to say no, it needed, politely but firmly.

10. When faced with a serious health problem, get at least three medical opinions.

11. Do not procrastinate but do what needs to be done without delay.

12. Do not be ashamed to say, “I don’t know” when you are not sure about some thing.

13. Be prepared for the dark while the sun shines.


৭ই আগষ্ট, ২০১২
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৫৪/৩৬৫

(ইন্টারনেট সমস্যার জন্যে লেখালেখি আপলোড দিতে বিলম্ব হয়েছে।)

অ আ আজকের লেখালেখি- ৫৩


৫ই আগষ্ট ছিল 'বন্ধু দিবস'। এইটা আমাদের নতুন কালচার। তাও ভালো যে, অন্ততঃ এই একমাত্র দিন যেদিন একটু হলেও দু'চারটে টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে বন্ধুকে শুভেচ্ছা জানাই। আমার বন্ধু সংখ্যা নিতান্ত হাতে গোনা কয়েকজন, যাদের জন্যে আমার বন্ধু দিবস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। আমাদের প্রতিটি মুহূর্ত চলে বন্ধু দিবস। আমি আমার বন্ধুকে ফোন দিয়ে কিংবা টেক্সট পাঠিয়ে খুব একটা যে খবর নেই তাও না। তবে হঠাৎ কোথাও খেতে যেতে, মুভি দেখতে কিংবা কোন উৎসবে যেতে ইচ্ছে হলেই বন্ধুদের ডাক দেই। কেউ আসতে পারে কেউ পারে না। আমার বন্ধু ভাগ্য বলতে খুব ভালো বন্ধুত্বের সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটা থাকে সেটি হলো, বন্ধুর প্রতি খেয়াল। যেটি আজকাল যুগে সবাই ডিজুস ফ্রেন্ড হয়ে আছে। হঠাৎ করে ইয়ো বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারপর হঠাৎ করে গায়েব হয়ে যায়, তারপর কোন এক বন্ধু দিবসে তারঁ থেকে একটা টেক্সট মেসেজ আসে, "হ্যাপি ফ্রেন্ডশিপ ডে"। 

৬ই আগষ্ট, ২০১২
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৫৩/৩৬৫

(ইন্টারনেট সমস্যার জন্যে লেখালেখি আপলোড দিতে বিলম্ব হয়েছে।)

অ আ আজকের লেখালেখি- ৫২

আমি যেদিন স্কুল ছেড়ে চলে এসেছিলাম সেদিন আমার পাঁচ বছরের একটা সম্পর্ক সমাপ্তি আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছিল। আমার স্কুল প্রতিটি আনাচে কানাচে আমার আনাগোনা এখনও আমাকে নষ্টালজিক করে তুলে । আমাদের সেই খেলার মাঠ, দাবড়িয়ে ছুটে চলা মুহূর্ত।
আমাদের ফেয়ারওয়ালে ছিল আমরা শেষ দিন খুব মন খারাপ করে বসেছিলাম। কেউ কেউ নি

জেকে ধরে রাখতে না পেরে ডুকরে কেঁদে উঠেছিল। সেদিন স্যারদেরকে প্রথমবারের মতন চোখ মুছতে দেখেছিলাম। সেদিন আমি ক্লাসে বসে সবাইকে উৎসর্গ করে এই কবিতাটা লিখেছিলাম।

বেদনার ফুল

বসুন্ধরার আঙ্গিনায় বাগানে
নতুন এক গোলাপে অস্তিত্ব ,
শুভ্র কিংবা
গাঢ় অন্ধকারের মত নয়
একেবারে টকটকে লাল ।

একদিন সকালে কি যেন ভেবে
বাগানে গেলাম ফুলের জন্যে
তাতে সবে কলি থেকে জেগে উঠেছে রক্ত গোলাপ ।
তাকে বুকের অকৃত্রিম ভালোবাসা জানাতে
হাতখানি গোলাপের মাথায় বুলিয়ে দিতে গিয়ে
কোথা হতে
অজানা অচেনা কন্টক
বাঁধ সাধল আঙ্গুলের কোণায় এসে ।
অস্ফুট ব্যথ্যাতে
কাতরাতে
কাতরাতে
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লাল বর্ণ জমা হয়ে
শেষে কিনা আমার হাতেই
ফুটল এক অলৌকিক ফুল ।

সেই ফুলটা
গোলাপের মতই রূপসী
প্রাণবন্ত
কিন্তু জানে না শুধু
ভালোবাসা দিয়ে সৌরভ ছড়াতে ।
একটু কষ্ট দিয়ে
হাতে যখন জন্মে গেছে
নামতো একটা দিতেই হয়
তাড়াহুড়ো করে তাই
নামটা দিয়েছি সাদামাটা,
“বেদনার ফুল” ।

(অয়ন আহমেদ)

৫ই আগষ্ট, ২০১২
--------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৫২/৩৬৫

(ইন্টারনেট সমস্যার জন্যে লেখালেখি আপলোড দিতে বিলম্ব হয়েছে।)

Saturday, August 4, 2012

বন্ধু ছিল বোধহয়

ক্রিং ক্রিং দরজায় অনবরত বেল,
বিকাল ৫ টার কাঁটা ছুইছুই,
আলসেমীতে হল দেরি
অতঃপর খুলে দেখি
কোথাও কেউ নেই,
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলি,
বন্ধু ছিল বোধহয়।

আমাদের চা পানের আড্ডা,
নিছক স্মৃতির পাতা,
এস্ট্রেটে হঠাৎ খুঁজে পাই,
সিগারেটের শেষ ধোঁয়া।
হয়ত কিছুক্ষণ আগে, 
বন্ধু ছিল বোধহয়।

হঠাৎ অফিস আদালতে,
শপিং সেন্টারে, 
দেখা হয়ে যায়, 
কিছু ভুলো যাওয়া মুখের সাথে,
আমি দ্রুততায় স্পষ্ট মনে করতে পারি না,
শেষমেষ নিরাশ হয়ে ভেবে নেই,
হবে হয়ত কেউ
বন্ধু ছিল বোধহয়।

অয়ন আহমেদ
৫ই আগষ্ট, ২০১২

(কবিতা দিয়ে বন্ধু দিবসে সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা। যারা আমার বন্ধু হয়ে আছে, যারা হারিয়ে গেছে এবং যারা হারানো অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। সব বন্ধুদের বলছি, তোরা সারাজীবন যেমন বন্ধু ছিলি তেমন থাকবি, শুধু মাঝে মাঝে আমার স্মৃতিভংশের জন্যে আমাদের তোদের ভুলে গেলে আমাকে মনে করিয়ে দিস। সেজন্য তোরা কেউ কেউ হয়ত কষ্ট পাবি, আমি তাই আগে ভাগে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।)

অ আ আজকের লেখালেখি - ৫১

প্রথমে লেখার শুরুতে ভাবতে পারি নি এত দিন ধরে টানা লিখে যাব। টানা পঞ্চাশ দিন লিখে যাওয়া আমার জন্যে সত্যি খুবই আর্শ্চযজনক ব্যাপার। প্রথমবারের মতন এইরকম অর্জন খুব ভালো লাগার মতন। 

কতগুলো মানুষের জন্যে লিখতে ভালো লাগে এবং যার ধারাবাহিকতায় অনেকেই আব্দার করছে বই যেন বের করি । আসলে এই সব কিছু আমাকে অতিরিক্ত ভালবাসার বর্হিপ্রকাশ। 


হঠাৎ মনে পড়ে গেল হুট করে লিখে ফেলা জীবনে প্রথম কবিতা "দৈত্য" এর কথা। আমার নানুর ডায়রীতে আমি লিখে রেখেছিলাম। এক সময় হারিয়ে ফেলেছিলাম। নানু মারা যাওয়ার পর অনেক কিছু স্মৃতি হিসাবে পেয়েছিলাম। নানুর লেখা স্বরচিত ডায়রী, সেখানে একদিন আবিস্কার করলাম আমার লেখা সেই পুরানো এবং প্রথম কবিতা। দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর এই ভাবে প্রিয় কিছু পেয়ে যাওয়াতে চোখের ভিতর পানি চলে এসেছিল।


দৈত্য

দৈত্য সেজেছে কালো আকাশ ,
শনশন করে বাতাস ।
কত জানা কত অজানা ,
মানুষ করেছে কল্পনা ।
চোর সেজেছে গোপাল ভাঁড় ,
গোপাল সেজে খেয়েছে মার ।
ঝড়ে বিদ্যুৎ চমকায় ,
বাঘে ঘাড় মৎকায় ।
বাঘে খায় মাংস ,
মজার গল্প বইয়ে আছে ছোট অংশ ।
মেয়েটির নাম ববিতা
শেষ করছি কবিতা ।

(অয়ন আহমেদ , ০৪.০৯.১৯৮৭)



৪ঠা আগষ্ট, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৫১/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

অ আ আজকের লেখালেখি- ৫০

অনেক দিন পর শেষ রাতের দিকে বৃষ্টিতে ভিজলাম। অদ্ভূত রকম অনুভূতি। কৈশোরের ঝুম বৃষ্টিতে ভিজার আনন্দ আজকাল কেমন যেন পানসে লাগে। বড় হয়েছি বোধহয়,
তাই মাথায় ভর করে রাজ্যের দুশ্চিন্তা, ঠান্ডা লেগে যাবে, কিংবা শেষ রাতের দিকে হয়ত হঠাৎ জ্বরে কাঁতরাবো।

অনেকদিন প্রানখুলে বৃষ্টিতে ভেজা হয় না। শেষবার কবে হুড তুলে দিয়ে কিংবা বিশাল খোলা বারান্দায় কিংবা খেলার মাঠে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে চুপসানো স্মৃতিরা বড্ড মন খারাপ করে। আজ এমন একটা সময় যাচ্ছে বৃষ্টি পড়ছে দেদারসে খুব শব্দ করে, প্রায়শই ভেজা মাটির গন্ধ পাই। ইচ্ছে করে খুব ইচ্ছে মতন ভিজি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিজেকে গুটিয়ে নেই।

বাদল দিনে স্কুল থেকে ফিরতাম কাক ভেজা হয়ে। বাড়ী ফিরতেই মা আমার মাথাটা টাওয়েল দিয়ে অসম্ভব মমতায় মুছে দিতেন। গরম দুধ খেতে খেতে আমি রোদের জন্যে অপেক্ষা করতাম। তার রোদে শুকাতে দিতাম আমার ভিজে যাওয়া খাতা, পুরানো কিছু টাকা দু'টাকা, পাঁচ টাকা কিংবা দশ টাকা, স্কুলের আইডি কার্ড। বৃষ্টিতে ভিজে ফ্যাকাশে হয়ে যেত নিজের আইডি কার্ডে থাকা ফটো।

আজ প্রচন্ড মিস করি সেই দিনগুলো, আজও প্রচন্ড ইচ্ছা করে ঝুম বৃষ্টিতে সেই দিনের মত কাক ভেজা হবো, হেঁটে যাব কাজলা দীঘির পাড়ে। তুই আসবি আমার সাথে, ঝুম বৃষ্টিতে ভিজবি কি আমার ছোট্ট গাঁয়ের পথে হেঁটে ??


৩রা আগষ্ট, ২০১২
---------------------------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৫০/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

(ইন্টারনেট সমস্যার জন্যে লেখালেখি আপলোড দিতে বিলম্ব হয়েছে।)

Thursday, August 2, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি- ৪৯


শেষ জলের তলাতে


কতশত ছবির ভিড়ে,
গিজগিজ করতে থাকা 
যত্রতত্র ফটোগ্রাফারদের ভিড়ে,
কতশত লাল সবুজ ছবির প্রদশর্নী।
কিচিমিচি হৈচৈ উল্লাসের ভিড়ে,
তোকে পেলাম না কোথাও।
অজস্র চেনা মুখ,
অনেক অচেনাও আছে,
কিন্তু কইরে তুই?
সব্বাই তোর কথা বলে,
কতজনই তোকেই নিয়ে ভাবে,
তোর সেই তোলা ছবি
আজও মনের আড়ালে দাগ কাটে।
কিসের অভিমানের তোর এত ?
জানা নেই 
তোকে পেতে
প্রিয় মানুষগুলো
চোখের জল ফেলবে 
আর কত!


(অয়ন আহমেদ)


২রা আগষ্ট, ২০১২
-----------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৪৯/৩৬৫


পুরাতন লেখালেখিগুলো

Wednesday, August 1, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি- ৪৮

অসম্ভব ব্যস্ততার ভিড়ে আজ ফিরে গেলাম পুরানো সেই ছোট বেলার পাড়ায়। আমাদের সেই ছুটে চলা অলিগলি অস্ত্রোপাচারে এবড়ো থেবড়ো। এদিক ওদিক ভাঙ্গা উচুঁ নিচু । প্রচন্ড মন খারাপ হল। হরতালে আমরা এ রাস্তাতে অনাবিল ছুটেছি বল পায়ে। কখনো সখনো ব্যাট চালিয়েছি সপাটে। ক্রিকেটের চিৎকার সোরগোল সারা পাড়া। আমার সেই পুরানো ছোট ঘরের জানালা দিয়ে আজও আলো আসে ধীরে। আযান শোনা যায় স্পষ্ট, তবে তরুন অচেনা স্বরে, সেই পুরানো গম্ভীর কন্ঠস্বরের মানুষটি নেই চলে গেছে কোথাও। উঁকি দিলাম সেই পুরানো আড্ডার গাছের তলাতে দেখি গৃহহীন একগাদা মানুষ ঘুমাচ্ছে। পাশে গড়ে উঠেছে হঠাৎ গজিয়ে উঠা দোকান-পাট। পুরাতন লন্ড্রিওয়ালা যে আমার স্কুল-কলেজের শার্টগুলো মায়া মাখানো হাতে সাজিয়ে রাখত সে আজ তেমন একটা চোখে দেখে না। আজ আমাকে চিনতে পারে না। আমি অস্ফুট কন্ঠে বলি, "চাচা ভালো আছেন তো?" । লন্ড্রি চাচা চিনতে পারে না , শুনতেও পায় না  এখন। প্রিয় ফুচকা দোকানটাতে দেখি নতুন একটা ছেলে কাপড় সিলাই করছে নতুন টেইলার্স। একগাদা নতুন কাপড় ঝুলানো। অনেক মানুষে গিজগিজ। সবাই অচেনা। আশেপাশে সেই পুরানো সব একতলা-দোতালা বিশাল বারান্দার বাড়ী ঘরের বদলে নতুন আকাশ ছোঁয়া ছোট কবুতর কোটরের বাড়ী। আর সেই সব পুরানো চেনা মুখের বদলে অচেনা মানুষের ভিড়। সেই সব পুরানো মুখের স্মিত আন্তরিকতার হাসির বদলে নতুন মুখে রাজ্যের বিরুক্তির অভিব্যাক্তি। এই সব দেখি বিষন্নতায় ভুগি, প্রচন্ড মন খারাপ করে নতুন ঘরে ফিরি পুরানো ঘর ফেলে।   



দুই শূন্যে


দু'দিকে যায়, দু'দিকে যায় - একদিকে কেউ যায় না
দু'টি জীবন চাখতে গেলেও একটিকে হারায় না
এমন মানুষ পাওয়া শক্ত, চতুর্দিকে বেড়ায়
বন্দী করে রাখছে এবং যে নেই তাকে এড়ায়


সমস্ত দিন সমস্ত রাত এই খেলাটির কাছে।
আমার হৃদয় ভাগ ক'রে দুই শূন্যে বসে আছে।


(শক্তি চট্টোপাধ্যায়) 


১ লা আগষ্ট, ২০১২
-----------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৪৮/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/