আজ ভোরে স্বপ্ন থেকে ফিরলাম। পাহাড় পাদদেশে বৃষ্টির ছায়া, কাপ্তাই লেকের উপচে পড়া পানি দুই দিনে আমাদের সারা বছরের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিয়েছিল। আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে দেখলাম আমার সবচেয়ে সুন্দর দেশ বাংলাদেশ। আমরা সবাই ভিজলাম সুবলং-এর ঝর্না জলে, বৃষ্টির জলের সাথে ঝর্নার জলের সংমিশ্রনে অন্যরকম আনন্দ তৈরী হয়েছিল আমাদের ভিতর। আমার এই ধরনের আনন্দ অভিজ্ঞতা এইবারই প্রথম। বিরামহীন খাবার দাবার, সারাদিন ফটোগ্রাফি শেষে ফটো আড্ডা, বিভিন্ন স্পটগুলোতে ফটো তোলার ব্যাপারে অভিজ্ঞতা শেয়ার। আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি যা ছিল আমার অজানা । আমরা সবাই ছিলাম বন্ধুর মতন। সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটা ছিল, বিভিন্ন সাফারীগুলোতে দেখায় যা সবাই ফ্রেম ইচ্ছাকৃতভাবে কপি করার চেষ্টা করছে, এইবার আমি প্রথম দেখলাম সবাই নিজের মতন করে তুলছে, কারো সাথে ফ্রেম মিলে সেটা দেখাচ্ছে, কেউ একটু ভিন্নভোবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে এবং ফটো তোলার পর সবাই সবার সাথে ফটো শেয়ার করছে, কিভাবে তুললো, ফটো তথ্য শেয়ার করেছে। সবার এমন বন্ধুত্বপূর্ন মন-মানসিকতা আমাকে খুব মুগ্ধ করেছে। কারোর ভিতর অহংকারবোধ কাজ করে নি। আমি এই জন্যে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি হাসিন ভাই, শাহাদাত, পারভেজ, তুষার, জানালা, মুক্তার, তনয় এবং সামির কাছে। তাদের জন্যে এটি হয়েছে আমার জীবনের সেরা সাফারী রাঙামাটির সাফারী।
২৪ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১০/৩৬৫
২৪ই জুন, ২০১২
------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১০/৩৬৫
No comments:
Post a Comment