ক'দিন আগে জনৈক ফটোগ্রাফার কমলাপুরে একটা ছোট ছেলের ফটো তুলেছিলেন, ছেলেটা উদ্বাস্তুর মতন বসে ছিল, অসংখ্য ক্লেদ ও ময়লা মাখামাখি এবং এই ফটো প্রসংগে আরেকজন ফটোগ্রাফার বলেছিলেন, "কেন ভাই? এই নেগেটিভ ইম্প্রেশানের ফটো তুলেন"।
আসলে ফটোর ক্ষেত্রে ফটোর মূল উদ্দেশ্যটা কি সেটা
আসলে ফটোর ক্ষেত্রে ফটোর মূল উদ্দেশ্যটা কি সেটা
হচ্ছে, আসল কথা। একটা ছবি কখনো নেগেটিভ কিংবা পজেটিভ হতে পারে না। প্রতিটি ছবির একটা নিজস্ব ভাষা থাকে, কথা থাকে এবং সেগুলো দিয়ে একটা সমাজ, একটা ব্যাক্তি কিংবা একটা সময়ের নিখুঁত এবং সত্য বণর্না দিয়ে থাকে।
মূল কথা হল একজন দর্শকের পয়েন্ট অফ ভিউ। একটা নুড ফটো পশ্চিমা দেশগুলোতে হুলস্থুল ফেলে বাহবা দিয়ে থাকে এবং ঠিক উল্টাটা ঘটে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকান দেশগুলোতে। এ মহাদেশগুলোতে ছিঃ ছিঃ পড়ে যায়। হয়ত আর্ট ব্যাপারটা আমাদের সাধারন মানুষের মাথা স্থায়ী আসন গড়তে পারে নি। এই জন্য অনেকে আর্ট এক্সিজিবিশানে গিয়ে শেষ বিকালের সূর্যাস্তকে ডিম পোঁচ মনে করে লোভনীয়ভাবে তাকিয়ে থাকেন।
আমাদের দেশের ইমেজ ধরে রাখার জন্যে একটা ছবির সম্বলিত সংবাদের গুরুত্ব অনেক বেশী। আমাদের দেশে শয়ে শয়ে পত্রপত্রিকাগুলো খুললে ভিতরে দেখা যাবে অসংখ্য সবুজ হলুদ সংবাদ। আমরা জানিও না, জানতেও পারি না, কোন সংবাদ সত্য কোন সংবাদ ভিত্তিহীন। বর্তমান যুগে আমাদের দেশে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্ববোধ ও নৈতিকতার বিরাট পরিবর্তন এসেছে। এক্ষেত্রে একটা কথা চলে আসে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা। এই গুলোর ঘাটতির দরুন সব শ্রেনীর মানুষের ভিতর একটা বড় মানসিক পরিবর্তন চলে এসেছে এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বিষয়টা হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে। ছোট একটা উদাহরন দিয়ে বলা যায়, সম্প্রতি হুমায়ুন আহমেদের লাশের ছবি, ব্যাক্তিগত জীবনের টানা হ্যাঁচড়া, কবর নির্বাচন নাটক, এই সব বিষয়গুলো হুমায়ুন আহমেদের পরিবারের বেদনাদায়ক ছিল যেটিতে বাড়াবাড়ি রং দিয়েছে আমাদের মিডিয়া। কারন এই দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নেই, কারন সাংবাদিকতার বিষয়ক যেই চার বছরের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে সেগুলোর ধারে কাছে আমাদের হঠাৎ গজিয়ে উঠা সাংবাদিকদের পাওয়া যাচ্ছে না।
তাই আমাদের মতন দেশের অপরাধ করেও মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, পুলিশ,উকিল আরো অনেকে বহাল তবিলতে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছেন। শুধু তাদের পাপের বোঝা ঘানি টানে আমাদের মতন ছাপোষা মানুষ, পঙ্গু বিচার ব্যবস্থার দরুন পঙ্গু লিমন আমরা সবাই। তাই আমাদের স্বর্নালী ভবিষ্যত পঙ্গুত্বের পথে। তবুও আশার কথা, আমাদের পরবর্তী বংশধররাই আমাদের মুক্তির উল্লাস।
২২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১০১/৩৬৫
মূল কথা হল একজন দর্শকের পয়েন্ট অফ ভিউ। একটা নুড ফটো পশ্চিমা দেশগুলোতে হুলস্থুল ফেলে বাহবা দিয়ে থাকে এবং ঠিক উল্টাটা ঘটে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকান দেশগুলোতে। এ মহাদেশগুলোতে ছিঃ ছিঃ পড়ে যায়। হয়ত আর্ট ব্যাপারটা আমাদের সাধারন মানুষের মাথা স্থায়ী আসন গড়তে পারে নি। এই জন্য অনেকে আর্ট এক্সিজিবিশানে গিয়ে শেষ বিকালের সূর্যাস্তকে ডিম পোঁচ মনে করে লোভনীয়ভাবে তাকিয়ে থাকেন।
আমাদের দেশের ইমেজ ধরে রাখার জন্যে একটা ছবির সম্বলিত সংবাদের গুরুত্ব অনেক বেশী। আমাদের দেশে শয়ে শয়ে পত্রপত্রিকাগুলো খুললে ভিতরে দেখা যাবে অসংখ্য সবুজ হলুদ সংবাদ। আমরা জানিও না, জানতেও পারি না, কোন সংবাদ সত্য কোন সংবাদ ভিত্তিহীন। বর্তমান যুগে আমাদের দেশে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্ববোধ ও নৈতিকতার বিরাট পরিবর্তন এসেছে। এক্ষেত্রে একটা কথা চলে আসে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা। এই গুলোর ঘাটতির দরুন সব শ্রেনীর মানুষের ভিতর একটা বড় মানসিক পরিবর্তন চলে এসেছে এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বিষয়টা হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে। ছোট একটা উদাহরন দিয়ে বলা যায়, সম্প্রতি হুমায়ুন আহমেদের লাশের ছবি, ব্যাক্তিগত জীবনের টানা হ্যাঁচড়া, কবর নির্বাচন নাটক, এই সব বিষয়গুলো হুমায়ুন আহমেদের পরিবারের বেদনাদায়ক ছিল যেটিতে বাড়াবাড়ি রং দিয়েছে আমাদের মিডিয়া। কারন এই দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নেই, কারন সাংবাদিকতার বিষয়ক যেই চার বছরের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে সেগুলোর ধারে কাছে আমাদের হঠাৎ গজিয়ে উঠা সাংবাদিকদের পাওয়া যাচ্ছে না।
তাই আমাদের মতন দেশের অপরাধ করেও মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, পুলিশ,উকিল আরো অনেকে বহাল তবিলতে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছেন। শুধু তাদের পাপের বোঝা ঘানি টানে আমাদের মতন ছাপোষা মানুষ, পঙ্গু বিচার ব্যবস্থার দরুন পঙ্গু লিমন আমরা সবাই। তাই আমাদের স্বর্নালী ভবিষ্যত পঙ্গুত্বের পথে। তবুও আশার কথা, আমাদের পরবর্তী বংশধররাই আমাদের মুক্তির উল্লাস।
২২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২
------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১০১/৩৬৫
No comments:
Post a Comment