আমার একান্ত কিছু শব্দের মানুষগুলো

আমার একান্ত কিছু অনুভূতি আমার কলমের সাথে ভাব জমায় আমি তাদের সাথে পথ পাড়ি দেই একাকী

Tuesday, September 4, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি - ৭৮

অনেকদিন পর ঢাকা আর্ট সেন্টারে গেলাম সেখানে একটা ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী চলছে । খুব ভালো লাগল। খুব ছিমছাম করে সাজানো। ভালো লাগল প্রতিটি বিষয় ভিত্তিক ফটোগ্রাফগুলোকে সাজানো। একটা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে যাওয়া ফটোগ্রাফিগুলো দারুন লাগছিল। 

আমি অনেক ফটোগ্রাফির প্রদর্শনী এই ব্যাপারটা খেয়াল করে দে

খি, সব জায়গাতে খেয়াল খুশি মতন ফটোগুলো টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকবছর আগে কোলকাতাতে একটা ফটোপ্রদর্শনীতে গিয়েছিলাম সেখান থেকে আমি ফটো কিভাবে সাজানো হয় সেই তথ্যটা পেয়েছিলাম কিছু নামীদামী ফটোগ্রাফারের সাথে কথা বলে। আমি অনেক কিছু জানতে তাদেরকে প্রশ্ন করেছিলাম। আমার পিএনএস দেখে ওরা বলেছিল। এটি দিয়ে তুমি অনেক কিছু শিখতে পারবে। তোমাকে আলোর নিয়ে খেলার ব্যাপারটা অনেক শিখতে হবে। আমাকে তাদের কেউ বলে নি এসএলআর ছাড়া ফটোগ্রাফি শেখা যায় না। যেটি আমি আমার দেশে অনেক গ্রুপের নামী দামী ফটোগ্রাফারের মুখে শুনি এবং মুচকি হাসি। ফটোগ্রাফি শিখতে যদি এসএলআর লাগে তাহলে ব্যাপার এমন দাঁড়াবে। গাড়ী চালানো শিখতে অবশ্যই দামী টয়োটা হতে হবে। পুরানো গাড়ী হলে নির্ঘাত খুনী ড্রাইভার হয়ে যাবে।

যাই হোক আসল কথাতে আমার একটা জিনিষ দেখে ভালো লাগল আমাদের সব তরুন ফটোগ্রাফাররা আমাদের বাংলাদেশের আনাচে কানাচে সব জায়গা থেকে খুব সুন্দর মুহূর্তগুলোকে তুলে আনছে। খুবই দারুনভাবে জীবনযাত্রাকে ছবির ভিতরে তুলে ধরছে। প্রতিটি ছবি জীবন্ত, প্রানবন্ত। আমি খুবই মুগ্ধ হয়ে দেখেছি। আমার খুব গর্ববোধ হয় যখন দেখি আমাদের দেশের ফটোগ্রাফাররা কিন্তু বিশ্বমানের ছবি তুলতে সিদ্ধহস্ত।

এক সময় আমাদের তরুন সমাজের একটা অংশ রাস্তার মোড়ে বিড়ি ফুঁকতো, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হেঁটে যাওয়া মেয়েদেরকে অন্য কোন গ্রহের প্রানী ভেবে তাকিয়ে থাকত, সেখানে তারা আজ ফটোগ্রাফি নিয়ে ব্যস্ত, চর্চা করছে, সুন্দর প্রদশর্নী করছে, আমাদেরকে গর্বিত করছে। তাদের খেলার সঙ্গী হয়ে গেছে তাদের ক্যামেরা। এই সঙ্গী তাদের বিষন্নতাকে দূর করেছে। এরা একদিন অন্যদের মতন বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেখিয়ে দিবে আমরাও পারি। ফটোগ্রাফি পারে আমাদের তরুন সমাজকে উজ্জীবিত করতে, সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে।

৩০ই আগষ্ট,২০১২
-------------------------------------------------------------------------



লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৭৮/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

No comments: