আমার একান্ত কিছু শব্দের মানুষগুলো

আমার একান্ত কিছু অনুভূতি আমার কলমের সাথে ভাব জমায় আমি তাদের সাথে পথ পাড়ি দেই একাকী

Friday, June 29, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি - ১৫


আজ সকালে আমার চুনতি গ্রামের গর্ব করার মতন খবর প্রথম আলোতে পড়ে এত উল্লাসিত ছিলাম, নিমেষের ভিতরে আমি ভুলে গেছি ক’দিনের মন খারাপের দিনগুলো। আমার গ্রামের বাড়ী চুনতি, ডেপুটি বাড়ি, ছোট একটা গ্রাম যেখানে, সবুজ পাহাড়ে ঘেরা বনাঞ্চল। ছোটবেলা থেকে নানাভাইয়ের কাছে নানাভাই ও দাদাভাইয়ের চুনতির গল্প শুনতাম, প্রায়ই আমাদের গ্রামে বাঘ আক্রমন করত তখন উনারা প্রায়ই বাঘের হাত থেকে সাধারন মানুষকে রক্ষা করতে এগিয়ে যেতেন। উনাদের পিতামহ সেখানে বনায়ন প্রকল্প শুরু করেছিলেন বহু আগে। বাবা-চাচারা বিমর্ষ ছিলেন তাদেরে পূর্বপুরুষের বনাঞ্চল নাকি উজার হয়ে যাচ্ছে। আমি ভাবছিলাম আজ হোক কাল হোক এটার ‍উপর একটা প্রতিবেদন করে সবাইকে জানিয়ে দিব। কিন্তু তার আগেই সেখান গ্রামবাসী নিজেদের রক্ষা সবাই এগিয়ে এলেন। আমি খুবই উল্লাসিত ও গর্বিত। যেসব পশু পাখীরা অসাধু শিকারীদের ভয়ে আমাদের গ্রাম ছেড়ে চলে গেছিল তারা আবার ফিরতে শুরু করেছে। আমি খুব ব্যস্ততার কারনে হুট করে সেখানে যেতে পারি না। কিন্তু আমার মন সব সময় সেখানে থাকে। আমি ফটোগ্রাফির নেশার কারনে বাংলাদেশের আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়াই কিন্তু আমার চুনতি গ্রাম সেইভাবে কখনো যাই নি। এই প্রসংগে আমি রবি ঠাকুরের কবিতার ক’টি লাইনে নিজের ভিতরে আমি চুনতিকে খুঁজে পাই,

বহুদিন ধরে, বহুক্রোশ দূরে
বহুবার করে, বহুদেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা, দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দু’পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের ওপর একটা শিশির বিন্দু।

আমি খুবই শীঘ্রই যাচ্ছি আমার শিকড়ের সন্ধানে বেশ জোরেসোড়ে। আমার উপর চুনতির অনেক অভিমান জমেছে। সেজন্য, আজ আমি প্রচন্ডরকম অনুভব করছি নিজের ভিতরে আমার ফেলে আসা শিকড়ের কান্না।

প্রথম আলোতে প্রকাশিত আমার গ্রাম চুনতির আজকের খবর:
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-06-29/news/269563

২৯ই জুন, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১৫/৩৬৫

No comments: