আমার একান্ত কিছু শব্দের মানুষগুলো

আমার একান্ত কিছু অনুভূতি আমার কলমের সাথে ভাব জমায় আমি তাদের সাথে পথ পাড়ি দেই একাকী

Friday, August 10, 2012

অ আ আজকরে লেখালেখি - ৫৮

অনেক পুরানো একটা প্রিয় লেখা আমি সবসময় পড়ি। এই রকম লেখা পরবর্তীতে অনেকবার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কেন যেন পারি নি। 
------------------------------------------------------------------------
ছোট ছোট অভিমান

গোলগাল কার্লি চুলের মেঘলার সাথে আমার অদৌ বনিবনা হয় না। এমনকি ঈশ্বর চিন্তিত থাকেন আমা

দের শান্ত মুহূর্তে ; ভাবেন সামনে বোধহয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা অনিবার্য । আমাদের নিরবতায় আশেপাশে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজন একটু বিচলিত থাকে। যখন আমরা ঝগড়া জুড়ে দেই। আশপাশে যেন স্বস্তির নিশ্বাস পড়ে। স্বয়ং ঈশ্বর নিশ্চিন্ত মনে অন্য কাজে ব্যস্ত হন। আমাদের জন্মটা দন্দ্বের মাঝে। আমাদের বন্ধুত্ব, ভালবাসা আর বিয়ে সব কিছুই একেকটা হাঙ্গামার অংশ। যার শিকার হচ্ছে আমাদের আশে পাশের মানুষগুলো । আমরা আজোও তুই তোকারীতে রয়ে গেছি। ‘তুমি’ বলতে হাসি আসে। আমি মেঘলাকে ছেমড়ি ডাকি, ও আমাকে ডাকে ছেমড়া। খেলার মাঠে দু’দলের সর্মথন নিয়ে, রাজনীতিতে দু’পক্ষের আধিপত্য দেখাতে, পচ্ছন্দ-অপচ্ছন্দে নিয়ে ঝগড়া বাঁধে। আমার ভাললাগে সাগর আর মেঘলার পাহাড়। মেঘলা আকাশ ছুঁতে চায় আর আমি পাতাল ছুঁতে চাই। কোথায় বেড়াতে যাওয়ার প্লান বানচাল করি নিজেরাই। মন খারাপ করে দু’জনে পুর্ণিমা দেখি নিজেদের ছাদে বসে। আমার প্রিয় রং গাঢ় সবুজ চির সজীবতার প্রতীক। আর ওর নীল চির বেদনার প্রতীক। শুনেছি কান্নার ও রং নীল। আমাদের অনাগত শিশুটি কন্যা হবে এ আমার প্রার্থনা। মেঘলার পুত্র কামনা। এ নিয়ে তুমুল হৈ চৈ করি। মেঘলার বাবা মা আমাকে বোঝায়, আর মেঘলাকে আমার বাবা মা। আমাদের অনাগত শিশু জন্ম নিয়ে আমাদের সামলানোর দায়িত্ব নিয়ে গালে হাত রেখে চিন্তিত মনে খুঁজবে সমাধান। হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে আমাদের ছেলেমানুষীতে। আমাদের সারাটাবেলা কাটবে কারণহীন ঝগড়া রাত এলে ক্লান্ত আমরা ভালবাসা নিয়ে ঘুমুতে যাই। মেঘলা প্রায়ই রাগ করে ফিরে যায় বাবার কাছে। আমিও বিষন্নতায় ঘর সামলাই একা। কিছুক্ষণ বাদে মেঘলা ঘরে ফিরে। এসেই মেঘলা শোনায়,“তোকে ছাড়া আমার একদম ভালো লাগে না। আমি বুঝি না, তোর মতন বাঁদরকে আমি কেন এত ভালবাসি।” বাঁদর কথাটা নিয়ে আমাদের আবার ঝগড়া বাঁধে।

(অয়ন আহমেদ ০৩/০৮/২০০২)
------------------------------------------------------------------------

১০ই আগষ্ট, ২০১২
------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৫৮/৩৬৫

পুরাতন লেখালেখিগুলো http://ayonahmed.blogspot.com/

No comments: