আমার একান্ত কিছু শব্দের মানুষগুলো

আমার একান্ত কিছু অনুভূতি আমার কলমের সাথে ভাব জমায় আমি তাদের সাথে পথ পাড়ি দেই একাকী

Sunday, July 29, 2012

অ আ আজকের লেখালেখি- ৪৫

আমার http://ayonahmed.blogspot.com/2012/07/blog-pos_2882.html বিগত লেখাতে  আমি সমীকরন দুইয়ে বিশ বছর পর্যন্ত কিছু ঊল্লেখযোগ্য অংশ বিশেষ লিখেছিলাম। বিশ বছর পরবর্তীতে শুরু করলাম।


সমীকরন : ৩ (২১ বছর - ৩০ বছর)


এই সময়টা আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। গ্রাজুয়েশন শেষ করে অনন্ত বেকার সময়। অসংখ্য জায়গাতে জমা দেওয়া শয়ে শয়ে সিভির বিপরীতে গড়ে পাঁচ-ছয়টা ইন্টারভিউ। নিজের ভিতর প্রচন্ড ইগো ছিল বলে , ইগো আমাকে পেছনের দরজা দিয়ে উপরের উঠা সিঁড়িতে তাকাতে দেয় নি। যেটিকে বলে হোল্ড কিংবা ব্যাক আপ। আমি কথা ছিল কষ্ট করে কিছু পেলে সেটার মর্যাদা দেওয়া যায়। ফলশ্রুতিতে যা হলো, আমার চাকরী হলো না কোথাও। অনেক জায়গাতে চাকরীর শুরুতে এমবিএ চাওয়া হচ্ছিলো এমনকি এক্সিকিউটিভ পোষ্টে যদি এক্সপেরিন্স লোক খোঁজে তাহলে আমাদের মতন ছাপোষা নতুন গ্রাজুয়েশনের তকমা লাগানো হতভাগাদের স্থান পার্কে বসে বাদাম চিবানোর মতন। চাকরী পেলাম না কোথাও। গ্রাজুয়েশনের আগেই কম্পিউটারটাকে আয়ত্বে এনে ফেলেছিলাম বলে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এর মতন টুকটাক কাজ করেছিলাম। টুকটুক করে খেলার ছলে শিখে ফেললাম, ওয়েব ডিজাইনের কলা কৌশলগুলো । এই বিষয়ে নিউ হরাইজনে কোর্সও করলাম। মনে খায়েশ মিটালাম। সেই সার্টিফিকেটেও কোন চাকরী হলো না। শেষমেষ মাষ্টার্স করলাম এবং এম.বি.এ করলাম। তখন চাকরীর গন্ধ পেলাম। ব্যাংকগুলোতে ঢু মারলাম। এসি খেলাম ইন্টারভিউ দিলাম। সবশেষে রেজাল্ট একটাই চাকরী হলো না। জানিয়ে দেওয়া হল, ওমুক পোষ্টের জন্যে আরো অধিক শ্রেয়তর ডিগ্রী লাগবে। শেষমেষ একদিন ভাগ্য খুললো একটা ব্যাংককে চাকুরী পেলাম, চুক্তি ছিল ২ বছর কোথাও যেতে পারব না, ঢাকা পোষ্টিং হবে না। সব ক্ষেত্রে রাজী ছিলাম। হঠাৎ বাবার কোম্পানীতে ধস নামল অন্য সব ডারেক্টররা নিজেরাই কোম্পানী খুলে বসলো। বাবার কথা নিজের শখের ব্যাংকের চাকরীর সুযোগটা ছেড়ে দিয়ে হাল ধরলাম। বাবা আমি মিলে ভাঙ্গা ঘর গোছানো শুরু করলাম। অবশেষে আবার দাঁড়িয়ে গেল। আমার স্থায়ী ঠিকানা আজও সেখানে। পরবর্তীতে বিয়ে করলাম। বাউন্ডুলে জীবন থেকে ছক বাঁধা জীবনে ঢুকে গেলাম। এখনও সেভাবে আছি। অগোছানো জীবন থেকে গোছানো জীবন।     


২৯ জুলাই, ২০১২
---------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৪৫/৩৬৫

No comments: